সূত্র মতে, গত আট বছরে ব্যাংকের পিই রেশিও সর্বোচ্চ অবস্থানে ছিল ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে, ১১ দশমিক ১৭ পয়েন্টে। চলতি তৃতীয় প্রান্তিক শেষে অধিকাংশ ব্যাংকের মুনাফা বাড়ায় পিই রেশিও কিছুটা কম রয়েছে। বর্তমানে ব্যাংক খাতের শেয়ারে লেনদেনের আধিপত্য চলছে। শেয়ারদর বাড়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে ব্যাংক শেয়ারের লেনদেনের পরিমাণ।
পুঁজিবাজার ধসের আগে ২০১০ সালের নভেম্বরে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও ছিল ২৩ দশমিক ১৯ পয়েন্টে। এরপর খেলাপিসহ নানা অনিয়মের কারণে দীর্ঘসময় পুরো খাতটি মন্দায় পড়ে, যার প্রভাবে শেয়ারদরও ছিল নিম্নমুখী। তবে প্রতি বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে খাতটির শেয়ারদর কিছুটা বাড়তে দেখা যায়।
গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসই পতন হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। এসময় পুঁজিবাজারের সব সূচকের সাথে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। একইসঙ্গে অধিকাংশ খাতের সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। তবে ব্যাংক খাতের পিই গত সপ্তাহে বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১১ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে। যা এর আগের সপ্তাহে ছিলো ৮ দশমিক ৬ পয়েন্টে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে গত সপ্তাহে এবি ব্যাংকের পিই রেশিও দাড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৭২ শতাংশ, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ১২ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ, ব্র্যাক ব্যাংকের ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ, সিটি ব্যাংকের ৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ, ঢাকা ব্যাংকের ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশে, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং ইস্টার্ণ ব্যাংকের পিই রেশিও দাড়িয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশে।
এছাড়াও গত সপ্তাহে ব্যাংক খাতের অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এক্সিম ব্যাংকের পিই রেশিও ৮ দশমিক ২৬ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ, আইএফআইসি ব্যাকের ১১ দশমিক ১৩ শতাংশ, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ, যমুনা ব্যাংকের ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ, মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংকের ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ, ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং এনসিসি ব্যাংকের পিই দাড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশে।
অপরদিকে সপ্তাহ শেষে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১০ দশমিক ৮১ শতাংশ, ওয়ান ব্যাংকের ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ, প্রাইম ব্যাংকের ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ, পূবালী ব্যাংকের ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ, রুপালী ।ব্যাংকের ৭০ দশমিক ৭৪ শতাংশ, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের ১৭ দশমিক ২২ শতাংশ, শাহা জালাল ইসলামী ব্যাংকের ৬ দশমিক ৯২ শতাংশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ, সাউথইস্ট ব্যাংকের ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ২৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ, ট্রাষ্ট ব্যাংকের ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং উত্তরা ব্যাংকের পিই রেশিও দাড়িয়েছে ৭ দশমিক ০৭ শতাংশ।
এছাড়া সপ্তাহ শেষে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ২৬ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৩৩ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৭ দশমিক ৩১ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৩ দশমিক ৪২ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২১ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ১৪ দশমিক ৫৫ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ৬৫ দশমিক ১৫ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ, চামড়া খাতের ৪১ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৫৮ দশমিক ২৬ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৯৭ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের (-) ১৩০৬ দশমিক ০৭ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৫১ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৩ দশমিক ১৩ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ২২ দশমিক ২৯ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ৯৪ দশমিক ১৫ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৩২ দশমিক ৩২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।