বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আঞ্চলিক মহাসমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানি হায়েনারা গর্ব করতো তারা নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিধর সেনাবাহিনী। আইয়ূব খান তার একটি বইয়ে লিখেছিলেন, বাঙ্গালিরা যুদ্ধ করতে জানেন না। তারা ভীরু, তারা কাপুরুষ। তাই তাদের পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে নেওয়া হয় না। বাঙালীদের ৭ শতাংশ হিসেবে নেওয়া হতো। সেই পাক হানাদার বাহিনী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে মাথা নত করেছিল। আমরা যুদ্ধ করে নিজেদের ক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিজয়ের শুরুটা আপনাদের এখান থেকে শুরু হয়েছিল। তাই মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর (৫০ বছর) উৎসব আমরা আপনাদের মাটি (পঞ্চগড়) থেকে শুরু করছি। আপনাদের প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আঞ্চলিক মহাসমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন- জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম। এতে অন্যদের মধ্যে পুলিশ সুপার ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া আঞ্চলিক মহাসমাবেশে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, গণমাধ্যেমকর্মীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শায়খুল ইসলাম, দিনাজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন বাবলু মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন।