আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) এমএসএফ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দিয়েছে।শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সমতা-অসমতা কমানো, মানবাধিকারের অগ্রযাত্রা’।
সংস্থাটি তাদের বিজ্ঞপ্তিতে দেশের প্রবৃদ্ধি গুটিকয়েক মানুষ ভোগ করে উল্লেখ করে বলেছে, ক্রমাগত বৈষম্য বৃদ্ধি ও অসমতা সামাজিক এবং মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়েরই বহিঃপ্রকাশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বৈশ্বিক লিঙ্গবৈষম্য প্রতিবেদন-২০২১ অনুযায়ী, নারী-পুরুষের সমতার ক্ষেত্রে ১৫৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের স্থান ৬৫তম। পরিবারের মধ্যে মানবাধিকার সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে এই বৈষম্য কমানো সম্ভব। সংস্থাটি মনে করে, পরিবার থেকে কেউ সমান অধিকারের শিক্ষা পেলে সেটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানেরও ভূমিকা অনেক। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন করতে হলে সর্বস্তরে মানবাধিকার সংস্কৃতির চর্চা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এমএসএফ বলেছে, অন্তর্ভুক্তিমূলক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে অসমতা কমিয়ে আনা দরকার। এ জন্য ব্যক্তি পর্যায় থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত প্রত্যেকের সুস্থ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে বেঁচে থাকার জন্য মৌলিক অধিকার পূরণ করতে হবে।