এ সময় মালদ্বীপের স্কুলশিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে পারফরমেন্স দেখায়। পরে দ্য মালদ্বীপিয়ান ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (এমএনডিএফ) ২১ বার গান সেলুট জানায়। মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিমসহ সফরকারী দেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত জানানোর পর প্রধানমন্ত্রীকে একটি শোভাযাত্রার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
পরে সলিহর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশ নেন শেখ হাসিনা। দুজনের বৈঠক শেষে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেয় দুই দেশের সরকার, রাষ্ট্রপ্রধানসহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার আলোচনার পর বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দ্বৈত কর পরিহার, বন্দি বিনিময়, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ে দুটি চুক্তি ও দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের কথা রয়েছে।
চুক্তি দুটি হচ্ছে হচ্ছে- দ্বৈত কর পরিহার ও বন্দী বিনিময়। আর দুটি সমঝোতা স্মারক হচ্ছে- বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা ও চিকিৎসা বিজ্ঞান (নবায়ন) এবং দু’দেশের যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রের উন্নয়নে সহযোগিতা। এছাড়াও বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ চুক্তি নবায়ন করা হবে।
সফরকালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ দু’টির মধ্যে বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশ মালদ্বীপকে ১৩টি সামরিক যান উপহার দেবে। বাসস।