ইতোমধ্যে চতুর্থ ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৯৫ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান ৪৮ জন, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ১১২ এবং ১৩৫ জন সাধারণ মেম্বার। এ ধাপের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৯ হাজার ২২৪টি, ভোটকক্ষ ৪৯ হাজার ৮৩২টি। নির্বাচনে এক কোটি ৬২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৬০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এই ধাপে চেয়ারম্যান পদে তিন হাজার ৮১৪ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৯ হাজার ৫১৩ এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩০ হাজার ১০৬ জন প্রার্থী ভোটের লড়াই করছেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, ৮৩৮টি ইউপির মধ্যে ৩৮টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং বাকিগুলোতে প্রচলিত ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) মধ্যরাত (রাত ১২টা) থেকে এসব এলাকায় সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা বন্ধ। একই সময় থেকে মোটরসাইকেল চলচলও বন্ধ রয়েছে। মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে ২৯ নভেম্বর (সোমবার) দিবাগত মধ্যরাত (রাত ১২টা) পর্যন্ত। এছাড়া শনিবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত মধ্যরাত (রাত ১২টা) থেকে ২৬ নভেম্বর (রোববার) দিবাগত মধ্যরাত (রাত ১২টা) পর্যন্ত যন্ত্রচালিত সব যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
তবে সাংবাদিক, নির্বাচন কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিতদের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
এসএম আসাদুজ্জামান আরও জানান, ভোটের পরিবেশ শান্ত রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ইতোমধ্যে নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ২২ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটের দায়িত্বে থাকবেন।
এছাড়া প্রতি ইউপিতে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে একটি করে মোবাইল ফোর্স এবং প্রতি তিনটি ইউপিতে তিনটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতি উপজেলায় র্যাবের দুটি মোবাইল টিম ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স, বিজিবির দুটি মোবাইল ফোর্স (দুই প্লাটুন), একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স (এক প্লাটুন); প্রতি উপকূলীয় উপজেলায় কোস্টগার্ডের দুটি মোবাইল টিম (দুই প্লাটুন) ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স (এক প্লাটুন); প্রতি উপজেলায় একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন বলেও জানান ইসির এ যুগ্ম সচিব।
ইতোমধ্যে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ করেছে ইসি। পঞ্চম ধাপে ৭০৭টি ইউপিতে ৫ জানুয়ারি এবং ষষ্ঠ ধাপে ২১৯ ইউপিতে ৩১ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।