সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দুর্ঘটনায় দগ্ধদের সার্বিক খোঁজখবর নিতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শুধু একটি ফিটনেসের সনদ দিয়ে দায় সারার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিনিয়ত এসব লঞ্চের ফিটনেস ঠিক আছে কী-না বা নিয়ম মানছে কী-না সেগুলো যাচাই-বাছাই করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ওই লঞ্চে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা কেন ছিল না, অনিয়মটা কোথায় সেটাও খুঁজে বের করতে হবে। প্রতিটি যানবাহনে যাতে অগ্নিনির্বাবন ব্যবস্থা থাকে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মনে করে, ভবিষ্যতের জনগণ যাতে নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি যানবাহনে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা আছে কিনা সেটি নিশ্চিত করতে হবে। শুধু অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা থাকলে হবে না, সঙ্গে প্রশিক্ষিত জনবলও লাগবে। অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা থাকলেই হবে না, সেটা কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সেটিও জানতে হবে।
লঞ্চ চলাচলের বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে যেন ভবিষ্যতে এমন কোনো দুর্ঘটনা যেন আমাদের দেখতে না হয়। আমরা ফিটনেস সার্টিফিকেট দেই কিসের ভিত্তিতে, সেটা মনিটরিং কমিটিকে নিশ্চিত করতে হবে। শুধু বছরের পর বছর ফিটনেস দিলেই হবে না, সেই যানবাহন চলাচলের উপযোগী আছে কী-না সেটিও দেখতে হবে।
এসময় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আপনারা জানেন বরিশালের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমাদের এখানে ১৫ জন রোগী আছে। তার মধ্যে ৪ জন আইসিইউতে, ৩ জন অলরেডি লাইফ সাপোর্টে আছে। বাকি যারা আছে তারা কেউ শঙ্কামুক্ত না। আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, গতকাল আমরা বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজের সঙ্গে একটা জুম মিটিং করেছিলাম। সেখানে আমাদের যারা চিকিৎসক গেছেন এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। সেখান থেকে প্রায় ১৮ জন রোগীকে ডিসচার্জ করে দেওয়া হয়েছে। তারা মোটামুটি ভালো আছে। বাকি যারা আছে তাদের আমরা বলেছি সেখানে রেখে চিকিৎসা করার জন্য। যদি প্রয়োজন হয় তখন আমরা নিয়ে আসব।