বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) এর উদ্যোগে আয়োজিত “জার্নাল অফ ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেট অ্যান্ড গভর্নেন্স” এর মোড়ক উন্মোচন এবং ‘বঙ্গবন্ধু ফিনকুইজ’ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গবেষণার পেছনে সিঙ্গাপুর এখন প্রচুর বিনিয়োগ করছে যার পরিমাণ প্রায় ১৪০ কোটি মার্কিন ডলার এবং দিন দিন সেটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিঙ্গাপুরের একটি বিশ্ববিদ্যালয় এখন এশিয়ায় টপ র্যাংকিং এ তো আসছেই ধীরে ধীরে বিশ্বসেরা র্যাংকিং এ চলে আসবে। এবং তখন দেখা যাবে আমরা যারা আমাদের ছেলে মেয়েদের উচ্চশিক্ষার জন্য এখন পশ্চিমা দেশগুলোতে পাঠাচ্ছি তখন, ঐসব দেশগুলোতে আর না পাঠিয়ে সিঙ্গাপুর কিংবা এশিয়ার দেশগুলোতে পাঠাবো। এজন্যই বলা হয় ‘নেক্সট সেঞ্চুরি ইজ এন এশিয়ান ইরা’ এবং এশিয়াকেই তখন সবাই উন্নত বিশ্ব হিসেবে জানবে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, পৃথিবীতে আমরা দুই রকম বিশ্ববিদ্যালয় দেখি। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় টিচিং নির্ভর এবং কিছু গবেষণা নির্ভর। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতেও দে্ষা যায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে যারা শুধু টিচিং নিয়ে থাকে। কিন্তু যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টপ র্যাংকিং এ আছে তারা সবাই গবেষণা নির্ভর। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং এর বেলায় ও এই গবেষণার দিকটিকেই গুরুত্ব দেয়া হয়। পূর্বে আমাদের দেশের গবেষণার উপর যে অর্থনৈতিক বা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ছিলো এখন তা আর নেই। তখন গবেষণার জন্য যে ফান্ড লাগে তা অনেক বেশি, অনেক পুঁজি আর অনেকবার ব্যার্থতার পর হয়তো সফলতা আসে। বিভিন্ন ফান্ড থেকে যদি ৫ লাখ ১০ লাখ টাকা দেন সেটা দিয়েও কিছুই হয়না, কোটি টাকা দিয়েও ভালো গবেষণা হয় না। গবেষণার পেছনে অনেক সময় ও অধ্যবসায়েরও প্রয়োজন। অনেকবার ব্যার্থ হবার পর যখন সফলতা আসে , সেই অবস্থান পর্যন্ত যেতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়।
এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে, জার্নাল কমিটির প্রধান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক ডঃ মাহফুজুল হক এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ক্যাপিটাল মার্কেটের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং বিআইসিএম বঙ্গবন্ধু ফিনকুইজের আহ্বায়ক মো. হাবিবুল্লাহও তাদের বক্তব্য রাখেন।