এটি সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। সংবিধান অনুযায়ী বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুর দিন রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেন। তাই এদিন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভাষণ দেবেন।
রোববার অধিবেশনের শুরুতেই সভাপতিমণ্ডলীর মনোনয়ন দেওয়া হবে। তারা স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারের অনুপিস্থিতিতে সংসদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। এরপর শোকপ্রস্তাব আনা হবে। শোকপ্রস্তাবের পর রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেবেন। তারপর সংসদের অধিবেশন মুলতবি করা হবে।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে। বছরের প্রথম অধিবেশন সাধারণত দীর্ঘ হয়। কিন্তু করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় যতদূর সম্ভব অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করা হবে।
করোনাকালের অন্য অধিবেশনগুলোর মতো এবারও রোটেশন অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা সংসদে যেতে পারবেন। এর আগে সবার করোনা টেস্ট করাতে হবে। তবে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ (যদিও তিনি অসুস্থ হয়ে দেশের বাইরে রয়েছেন), সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙা সংসদের প্রতিটি বৈঠকে অংশ নিতে পারবেন।
এর আগে ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর শেষ হয় জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশন। ওই অধিবেশনে কার্যদিবস ছিল নয়টি। ২৮ নভেম্বর অধিবেশন সমাপ্তি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতির আদেশ পড়ে শোনান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।