বিসিক সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ ও নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরীর মোট ১১টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান বর্তমানে দৈনিক ৯০ টনের অধিক চিঁড়া ও মুড়ি উৎপাদন করছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা। ময়মনসিংহ ও নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরীতে উৎপাদিত চিঁড়া ও মুড়ি বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশে সরবরাহ করা হয়।
বিসিক শিল্পনগরী ময়মনসিংহের শিল্পনগরী কর্মকর্তা মো. মনজুরুল ইসলাম জানান, এ শিল্পনগরীতে মোট ৭২টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে পবিত্র রমজানে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২৭টি শিল্প-কারখানা চালু রাখা হয়েছে।
এর মধ্যে সাতটি কারখানায় বর্তমানে দৈনিক ৮৬ টন মুড়ি ও চিঁড়া উৎপাদিত হচ্ছে। চিঁড়া-মুড়ি ছাড়া ময়মনসিংহ বিসিক শিল্পনগরীতে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, বিস্কুট, কেক, রুটি, সরিষার তেল, মশার কয়েল, বালাইনাশক, প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং পণ্য উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে বলে জানান মনজুরুল ইসলাম।
অন্যদিকে, নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরীতে ৫৩টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমানে ২৯টি চালু রয়েছে। এগুলোর মধ্যে চারটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান বর্তমানে দৈনিক সাড়ে চার টন চিঁড়া ও মুড়ি উৎপাদন করছে। এছাড়া এ শিল্পনগরীতে চাল, ডাল, সরিষার তৈল, খইল, পশুর ওষুধ ও খাদ্য, পাউরুটি, বিস্কুট, কেক, ডাল ও ভূষি, টিউবওয়েল হেডসহ অন্যান্য হালকা প্রকৌশল যন্ত্রপাতি উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে।
নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরীর শিল্পনগরী কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল আজিম বলেন, কারখানাগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিষয়টি বিসিকের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করার পাশাপাশি কারখানা চালু রাখতে মালিকদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরীতে মোট ১ হাজার ৭০২ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে তিনি জানান।