বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিক সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন সিইসি।
তিনি বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করা আর জরুরি সময়ে সামরিক সরকারের অধীনে নিবার্চনের মধ্যে পার্থক্য আছে। শামসুল হুদা কমিশন প্রশংসা পেয়েছে। তখন যে পরিবেশ পরিস্থিতি ছিল সেটা ছিল একটা জরুরি অবস্থার মধ্যে। ক্যান্টনমেন্টের আশীর্বাদ নিয়ে ওই নির্বাচন করা হয়েছিল। তবে এ অবস্থা গণতান্ত্রিক পরিবেশকে সম্প্রসারিত করে না।
গণতন্ত্রে উন্মুক্ত পরিবেশ থাকতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখানে বন্দুকের নল অথবা লাঠি উঁচিয়ে নির্বাচনকে সাইজ করা যায় না। এটার জন্য ছেড়ে দিতে হয় উন্মুক্ত পরিবেশ। সেখানে ভুল-ভ্রান্তি হবে। সেখানে সংঘাত হবে, বিতর্ক হবে। মিছিল হবে, মিটিং হবে—এখন যেমন হয়। এই হলো পরিবেশ। বন্দুক মাথায় রেখে নির্বাচনের অবস্থা একটা হতে পারে, চিরদিনই সেটা হতে পারে না। তার জন্য খুলে দিতে হবে দরজা। এখন সেই দরজা খুলে গেছে। এখন রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নির্বাচন হয়, এ নির্বাচন অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু সম্ভব, এর মধ্য দিয়েই আমাদের যেতে হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার গত পাঁচ বছরের রোডম্যাপে কী কী করেছেন এবং কী রেখে যাচ্ছেন সে সম্পর্কেও তুলে ধরেন অনুষ্ঠানে।