সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে মঙ্গলবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার মধ্যে তারা মারা যান।
মৃতদের মধ্যে করোনায় মারা গেছেন একজন। তিনি নাটোরের বাসিন্দা। এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ জেলার একজন করে মারা গেছেন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে করোনা সংক্রমণে একজন মারা গেছেন। এছাড়া করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের দুজন হাসপাতালের ২৯/৩০ নং ওয়ার্ডে এবং দুজন আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন।
গত এক দিনে মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ। এদের দুজনের বয়স ষাটোর্ধ্ব এবং একজন ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী। এই দিন একজন নারীও মারা গেছেন। তার বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
এদিকে ১০৪ শয্যার রামেক করোনা ইউনিটে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ৬৩ জন। এক দিন আগেও এই সংখ্যা ছিল ৬৩ জন।
হাসপাতালে করোনা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৩৯ জন। করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ২০ জন। করোনা ধরা পড়েনি ভর্তি ৪ জনের। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৬ জন। এই এক দিনে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৯ জন রোগী।
হাসপাতালে বর্তমানে রাজশাহীর ৩৯ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৮ জন, নওগাঁর ৩ জন, নাটোরের ২ জন, পাবনার ৩ জন, কুষ্টিয়ার ৩ জন, ঝিনাইদহের একজন, মেহেরপুরের ২ জন, বগুড়ার একজন এবং গাইবান্ধার একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এদিকে সোমবার রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ১৮২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই দিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) ল্যাবে ৪৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২১৯ জনের করোনা ধরা পড়েছে। এই ল্যাবে রাজশাহী জেলার ৪৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়েছে ২১৭ জনের। করোনা শনাক্তের হার ৫২ দশমিক ২৬ শতাংশ। একই ল্যাবে জয়পুরহাটের ৪ নমুনার মধ্যে ২টিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই জেলায় করোনা শনাক্তের হার ২৫ শতাংশ।