সব ঠিক থাকলে চার সপ্তাহে আইপিও অনুমোদন

সব ঠিক থাকলে চার সপ্তাহে আইপিও অনুমোদন
শেয়ারবাজারে আমরা ভালো কোম্পানিকে বুঝিয়ে আনার চেষ্টা করছি। কোম্পানিগুলোর কাগজপত্রে সমস্যার কারণে আইপিও অনুমোদনে সময় লাগে। কোম্পানিগুলো সঠিক তথ্য দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে ৭ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন দেওয়ার চেষ্টা করছি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল- ইসলাম।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিজনেস আওয়ার টোয়েন্টিফোর ডটকম’র উদ্যোগে “শেয়ারবাজারে ভালো কোম্পানির তালিকাভুক্তির প্রতিবন্ধকতা ও সমাধানের উপায়” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ ছায়েদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এর প্রেসিডেন্ট মো: মামুনুর রশীদ (এফসিএমএ)। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিজনেস আওয়ার টোয়েন্টিফোর ডটকমের উপদেষ্টা আকতার হোসেন সান্নামাত (এফসিএ) এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক ও প্রকাশক আমিরুল ইসলাম নয়ন।

এসময় বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, তিনটা ভালো কোম্পানি আইপিওতে আসার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নেক্সট কোয়াটার থেকেই আপনারা দেখতে শুরু করবেন যাদেরকে আপনারা চাচ্ছে, তারা আস্তে আস্তে আসতে শুরু করেছে। ভালো সুস্থ্য একটা পরিবেশ যখন পাওয়া যাবে, তখন অন্যরাও উৎসাহিত হবে। চেকলিস্ট অনুযায়ী কাগজপত্র ঠিকমত জমা দিলে আমরা ভালো কোম্পানির আইপিও সাতদিন থেকে সর্বোচ্চ চার সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন দিয়ে দেব। অনেকগুলো কোম্পানির আইপিও আমরা দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন দিয়েছি।

তিনি বলেন, ৫০ বছর আগে যদি আমার এসএমই খাতকে গুরুত্ব দিতাম, তাহলে প্রতিষ্ঠানগুলো মিডিয়াম থেকে লার্জ হতো। এখন আমরা এসএমই’র জন্য আলাদা একটা প্লাটফর্ম করে দিয়েছি। এখানে লিস্টিং হওয়ার মাধ্যমে তারা কর্পোরেট আচার-আচারন শিখতে পারছে। পরবর্তীতে ভালো পারফরমেন্স দেখিয়ে এখান থেকেই মূল মার্কেটে আসতে পারবে। আমরা এখনই তাদেরকে এই সুযোগটা দিচ্ছি।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালকদের এককভাবে দুই শতাংশ এবং সম্মেলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারন করতেই হবে বলে জানিয়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তিনি বলেন, শেয়ার ধারণের ক্ষেত্রে দুই শতাংশ ও ৩০ শতাংশের ক্ষেত্রে আমরা অটল। এটা ঠিক রাখতেই হবে। আপনি একটি কোম্পানির পরিচালক হবেন, কোম্পানি চালাবেন। কিন্তু দুই শতাংশ শেয়ার রাখবেন না, এটা কেমন কথা। তাহলে আপনার ইন্টারেস্ট কি? খালি বেতন-ভাতা নেয়া, সুবিধা নেয়া। আপনার যদি সেটার পার্ট না হন, তাহলে অন্যদের স্বার্থ রক্ষা করবেন কিভাবে? দুই শতাংশ শেয়ার ধারন, সেটা করতেই হবে।

তিনি বলেন, কোম্পানির পরিচালকদের সম্মেলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধানের বিষয়টি অনেকে ঠিক না বলে। কিন্তু আমরা সেটার বিষয়ে একমত না। ৩০ শতাংশ থাকতেই হবে, না থাকলে ৭০ শতাংশ যারা আছে তারা তো জড়িত না। তাদের স্বার্থ রক্ষা কিভাবে হবে? আমাদের সবার স্বার্থ দেখতে হবে। একদিক দেখলে তো হয় না।

এছাড়াও তিনি বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারের ৬০ বছর হয়ে গেছে। এই ৬০ বছরে কিছু হয়নি কেন? ৬০ বছরে আমরা মানুষের মাইন্ডসেট চেঞ্জ করে পারিনি কেন? ৬০ বছরে কেন সবাই মানিমার্কেট মুখী ছিল? তাই হঠাৎ করে অনেক কিছু চেঞ্জ করতে গিয়ে আমাদের আনেক রকমের সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জগুলো আমরা খুবই সহজভাবে নিয়েছি এবং ভালো রেজাল্ট পাচ্ছি।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত