জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির আইপিওতে কেবল তাঁরাই আবেদন করতে পারবেন, যে সকল সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নূন্যতম বিনিয়োগ ২০ হাজার টাকা থাকবে।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি বিকাল ৫টা থেকে ১২ জানুয়ারি বিকাল ৫টা পর্যন্ত জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের বিডিং (নিলাম) অনুষ্ঠিত হয়। নিলামের মাধ্যমে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির জন্য কোম্পানিটির কাট-অফ প্রাইস ২৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন- বিএসইসি-এর ৭৯৯তম সভায় জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে শেয়ার ছাড়ার অনুমোদন দেয়া হয়। এর ফলে বুকবিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি বাজার থেকে ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে।
পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করা টাকা অবকাঠামো ও অন্যান্য নির্মাণ, নতুন যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম কেনা, ভূমি উন্নয়ন, ঋণ পরিশোধ ও আইপিওর খরচ মেটাতে ব্যবহার করবে কোম্পানিটি। ২০২০ সালের ৩০ জুন তারিখে সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২৯ টাকা ৯৯ পয়সা। পুনঃমূল্যায়ন ছাড়া নিট সম্পদ মূল্য ২৭ টাকা ৭৮ পয়সা।
উল্লেখ্য, বুকবিল্ডিং পদ্ধতির আইপিও অনুমোদনের অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রোড শো আয়োজন করে জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড। এটি দক্ষিণ কোরিয়া আর বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগের একটি প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে রাষ্ট্রীয় মালিকানার বাণিজ্যিক ব্যাংক জনতা ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।