শনিবার (২৫ এপ্রিল) রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) ল্যাবে ৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু কারও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েনি।
রামেকের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডা. বুলবুল হাসান জানান, তাদের ল্যাবে প্রতিদিন ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। শনিবারও ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষায় জয়পুরহাটের একজন করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এছাড়া সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় ত্রুটির কারণে ফল বাতিল হয়েছে ৯টি নমুনার।
গত সোমবারের পর রাজশাহী জেলার কোনো ব্যক্তির করোনা ধরা পড়েনি। সর্বশেষ বাঘা উপজেলার এক বৃদ্ধের করোনা শনাক্ত হয়। ল্যাবে এখন রাজশাহী বিভাগের ছয়টি জেলার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
রাজশাহীতে গত ১২ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এ পর্যন্ত জেলায় আটজনের করোনা ধরা পড়েছে। এরা পুঠিয়া, বাগমারা, মোহনপুর ও বাঘা উপজেলার বাসিন্দা। এদের সাতজনই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে এসেছেন। প্রত্যেকেই নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে রাজশাহী নগরীতে এখনও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েনি।
এদিকে, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে ১৪ জন ভর্তি হয়েছেন। এদের একজনকে সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতালে, দুইজনকে খ্রিষ্টান মিশন হাসপাতালে এবং ১১ জনকে রামেক হাসপাতালের করোনাভাইরাস পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস বলেন, অন্যান্য রোগের সঙ্গে যাদের জ্বর রয়েছে তাদের ৩৯ ও ৪০ নং ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আর যাদের জ্বর, সর্দি, কাশি আছে তাদের মিশন হাসপাতালে এবং জ্বর, সর্দি, কাশির সঙ্গে যাদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে তাদের আইডি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এদের মধ্যে আইডি ও মিশন হাসপাতালের রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে গত ১৪ এপ্রিল থেকে রাজশাহী জেলা লকডাউন। তারপরেও নানা কৌশলে মানুষ রাজশাহী আসছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকেই মানুষ বেশি আসছেন।
জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, রাজশাহীতে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬৬০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৩২৬ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৩৩৪ জন। এর মধ্যে রাজশাহী নগর এলাকায় ৬৫ জন, বাঘায় ৩৯ জন, পুঠিয়ায় ৪৭ জন, দুর্গাপুরে ৫১ জন, বাগমারায় ২৯ জন ও তানোরে ১০৩ জন।