সংস্থা গুলোর কর্মকর্তারা বলেছেন, এই সুযোগ অব্যাহত রাখলে পুঁজিবাজার শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে, কমবে অর্থপাচারও। এজন্য আগামী অর্থবছরে ৫ শতাংশ কর দিয়ে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ চান তারা।
মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা এ প্রস্তাব করেন। একই সঙ্গে পুঁজিবাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট কর হারের পার্থক্য কমপক্ষে ১০ শতাংশ পয়েন্ট করা এবং এসএমই কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আসা উৎসাহিত করতে কর ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন এসব সংস্থার কর্মকর্তারা।
উল্লেখ, বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট কর হার ২২ দশমিক ৫ শতাংশ। আর তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির কর হার ৩০ শতাংশ। তবে ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, টেলিকম ও তামাকজাত কোম্পানির কর হার এর বাইরে বিশেষভাবে নির্ধারিত।
বর্তমানে ১০ শতাংশ কর পরিশোধ করে অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা যায়। আগামী ৩০ জুন এ সুবিধার মেয়াদ শেষ হবে। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা এ সুবিধা কমপক্ষে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির সদস্য (কাস্টম নীতি) মো. মাসুদ সাদিক। তিনি বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থ প্রদর্শন বা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার ফলে একদিকে নিয়মিত করদাতারা অসেন্তাষ প্রকাশ করেন। নাগরিক সমাজও এর বিরোধিতা করে। অন্যদিকে পুঁজিবাজার বা ব্যবসায়ীদের কোনো কোনো পক্ষ এ সুবিধা চান। কিন্তু এনবিআর এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে যারা সুবিধা চান তারা পাশে দাঁড়ান না।