মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তারা মারা যান।
এদের মধ্যে দুজন রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। এছাড়া একজন নাটোর এবং একজন জয়পুরহাট জেলার বাসিন্দা। করোনা সংক্রমণ নিয়ে রামেক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তারা।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মৃতরা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। এদের একজন নারী আর বাকি তিনজন পুরুষ। চারজনের মধ্যে দুজনের বয়স ৬১ বছরের উপরে। এছাড়া একজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ এবং একজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
এদিকে ১৪৬ শয্যার রামেক করোনা ইউনিটে বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা পর্যন্ত ভর্তি ছিলেন ৩৯ জন রোগী। এক দিন আগেও এই সংখ্যা ছিল ৩৮ জন। করোনা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ২৪ জন। করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৮ জন। করোনা ধরা পড়েনি ভর্তি ৭ জনের। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৫ জন। এই এক দিনে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন চারজন রোগী।
বর্তমানে রাজশাহীর ১৬ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৮ জন, নওগাঁর ৬ জন, নাটোরের ৩ জন, পাবনার ৩ জন, চুয়াডাঙ্গার একজন, মেহেরপুরের একজন এবং জয়পুরহাটের একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রামেক হাসপাতাল ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়নি। একই দিনে রামেক ল্যাবে ৪৫৩টি নমুনা পরীক্ষায় ৭৩টিতে করোনা ধরা পড়েছে।
রাজশাহীর ১২৩টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়েছে ১০টিতে। জেলায় করোনা শনাক্তের হার ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। একই ল্যাবে জয়পুরহাটের ১৬৪টি নমুনা পরীক্ষায় ২৪টিতে, নাটোরের ১৩৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৬টিতে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৩টিতে করোনা ধরা পড়েছে। করোনা শনাক্তের হার জয়পুরহাটে ১৪ দশমিক ৬৩, নাটোরে ২৬ দশমিক ০৯ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ।