বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) পাঠানো এক চিঠিতে দুবাই জানায়, বাংলাদেশি যাত্রীদের দুবাই রওনা হওয়ার আগেই হোটেল বুকিং করতে হবে। এছাড়াও যাত্রা শুরুর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনার আরটি পিসিআর টেস্ট করে নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিতে হবে। বিমানবন্দরে উপস্থিত হওয়ার সময় মোট ৮ কপি সার্টিফিকেট সঙ্গে রাখতে হবে। দুবাই পৌঁছে বিমানবন্দরে যাত্রীদের বিনামূল্যে আরেকবার করোনা টেস্ট করতে হবে। সেই টেস্টের রিপোর্ট দেওয়া হবে নমুনা নেওয়ার পরদিন বিকেলে (হোটেলে কিংবা মোবাইল নম্বরে)। রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত যাত্রীকে দুবাইয়ের হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তিনি হোটেল থেকে বের হতে পারবেন। কোনো যাত্রীর যদি করোনা পজিটিভ আসে তাকে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে তারা।
নতুন ভ্রমণ বিধিনিষেধে বলা হয়েছে, প্রত্যেক যাত্রীকে যাত্রা শুরুর আগে তাদের স্মার্ট ফোনে ‘COVID 19 DXB’ অ্যাপ ডাউনলোড করে হেলথ ডিক্ল্যারেশন ফরম পূরণ করতে হবে। যাত্রার সময় পূরণ করা ফরম প্রিন্ট করে নিয়ে যেতে হবে। যাত্রীদের হেলথ ইনস্যুরেন্স নিতে হবে।
এছাড়াও ১০ বছরের নিচের শিশু এবং শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিরা আরটি পিসিআর টেস্ট ছাড়াই দুবাই প্রবেশ করতে পারবে।
দুবাই আরও জানায়, বাংলাদেশ থেকে যেসব বৈধ গৃহকর্মী দুবাই যাবেন তাদের সঙ্গে তাদের স্পন্সর বা স্পন্সরের মনোনীত ব্যক্তিকে ফ্লাইটে থাকতে হবে।