সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্য সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৩০ পয়েন্ট বেড়েছে। বর্তমানে সূচকটি ৬ হাজার ৯৪৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বাছাইকৃত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ‘ডিএসই৩০’ সূচক বুধবার ১৪ পয়েন্ট বেড়েছে। আর শরীয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলো নিয়ে গঠিত ‘ডিএসইএস’ বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
টানা তিন দিন পতনের পর আজ শেয়ারবাজারকে উত্থানে ফেরানোর প্রধান ভূমিকায় ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো। কোম্পানিটি আজ একাই সূচকে যোগ করেছে ৯ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট।
বেক্সিমকো এবং স্কয়ার ফার্মা মিলে সূচকে যোগ করেছে আরও ৬ দশমিক ৮২পয়েন্ট। আর ওয়ালটন হাই-টেক এবং রেনেটার কারণে সূচক পেয়েছে আরও ৪ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট।
এছাড়াও রবি, সোনালী পেপার, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড পাওয়ার গ্রিড এবং তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলে সূচক বাড়িয়েছে আরও ৬ দশমিক ১৪ পয়েন্ট।
এই দশ কোম্পানির কারণে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচক পেয়েছে ২৭ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট।
বুধবার আরও বড় উত্থানে বাধা ছিল লাফার্জ হোলসিম। কোম্পানিটির কারণে আজ সূচক ৪ দশমিক ৯১ পয়েন্ট হারিয়েছে।
এছাড়াও, লিন্ডে বিডি, কুইনসাউথ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি), সাইফ পাওয়ার, ঢাকা ব্যাংক, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মুন্নু সিরামিকস, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং এবং বিকন ফার্মার কারণে সূচক কমেছে আরও ২ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট।
এই দশ কোম্পানি মিলে আজ সূচক কমিয়েছে ৭ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট।
সব সূচকের উত্থানের দিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। আজ এক্সচেঞ্জটিতে ৮৮৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) লেনদেন হয়েছিল ৯০৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
বুধবার ডিএসইতে ৩৭৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব কোম্পানির মধ্যে ১৮৫টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে ১৩৫টির। বাকি ৫৯টি কোম্পানির শেয়ারদর আজ অপরিবর্তিত ছিল।