বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় রাজস্ব ভবন (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় সংগঠনটির পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে সভায় এনবিআর সদস্য (কাস্টমস নীতি) মো. মাসুদ সাদিক, সদস্য (ভ্যাট নীতি) জাকিয়া সুলতানা ও সদস্য (আয়কর নীতি) সামস উদ্দিন এদিন উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বাজুসের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজার। স্বর্ণের উচ্চমূল্য ও নানাবিধ কারণে জুয়েলারি শিল্পে পাঁচ শতাংশ হারে ভ্যাট নির্ধারণ করায় জুয়েলারি ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে জুয়েলারি শিল্পে তিন শতাংশ ভ্যাট বিদ্যমান থাকায় এবং ভারতের ভিসাপ্রাপ্তি সহজলভ্য হওয়ায় এ দেশের ক্রেতাসাধারণ ভারত থেকে স্বর্ণালংকার ক্রয়ে উৎসাহী হচ্ছেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে আরোপিত ভ্যাট অনুযায়ী একজন ক্রেতা ১০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ক্রয় করলে তাকে ৫০ হাজার টাকা ভ্যাট দিতে হয়। অন্যদিকে ভারত থেকে ১০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ক্রয় করলে মাত্র ৩০ হাজার টাকা ভ্যাট দিয়ে হয়। জুয়েলারি খাতে ভ্যাট সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে অর্থাৎ দুই শতাংশ হারে নামিয়ে আনা হলে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা ভ্যাট দিতে উৎসাহিত হবেন এবং ক্রেতারাও ভ্যাট প্রদানে আগ্রহী হবেন।
তিনি আরও বলেন, সোনা আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক কমানো হলে বৈধপথে আমদানির পাশাপাশি রাজস্ব আয় বাড়বে। এই শিল্পের বিকাশে প্রতি ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রামের সোনার বার আমদানিতে দুই হাজার টাকা থেকে শুল্ক কমিয়ে এক হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি।
এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, আপনাদের লিখিত প্রস্তাব পেয়েছি। আশা করছি এগুলো নিয়ে আমরা বসবো। যে প্রস্তাবগুলো গ্রহণযোগ্য হবে সেটা অবশ্যই বিবেচনা করা হবে এবং অফিশিয়াললি প্রসেস করবো।