ডিএমপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।
আইজিপি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতায় উদ্বুদ্ধ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনসহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সাইবার অপরাধসহ নিত্যনতুন অপরাধ শনাক্ত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা সফলতার প্রমাণ দিয়ে দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মেলবন্ধনে জনসাধারণের সঙ্গে পুলিশের যে সুসম্পর্ক ও সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
তিনি বলেন, ডিএমপির প্রতিটি সদস্য তাদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সমৃদ্ধ ও নিরাপদ ঢাকা বিনির্মাণের পাশাপাশি এদেশকে বঙ্গবন্ধুর ভাবনার ক্ষুধামুক্ত, শোষণহীন, আত্মমর্যাদাশীল জাতিতে পরিণত হওয়ার সোনালী বন্দরে উপনীত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা দিবসের সব আয়োজন সার্বিকভাবে সুন্দর, সফল ও সার্থক হোক।
ডিএমপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ আনন্দঘন মুহূর্তে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান আইজিপি।
আইজিপি বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ আনন্দঘন মুহূর্তে আমি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যার বজ্রকণ্ঠের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে রাজারবাগে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন বাঙালি পুলিশের বীর সদস্যরা। তাদের বীরত্বগাথা, আত্মত্যাগ ও সাহসিকতা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে করেছে গৌরবান্বিত, কৃতজ্ঞচিত্তে আমি তাদের স্মরণ করছি। সাম্প্রতিক করোনা অতিমারিতে দেশ ও জনগণের সেবায় ১০৬ জন পুলিশ সদস্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, আমি তাদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।