রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস-২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুারো (বিবিএস) দ্বিতীয়বারের মতো ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস-২০২২’ পালন করছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘গুণগত পরিসংখ্যান উন্নত জীবনের সোপান’, যা পরিসংখ্যানের ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও ব্যবহারের গুরুত্ব বহন করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশে সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, উন্নয়ন ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব উপলব্ধি করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিসংখ্যান কার্যক্রমে নিয়োজিত চারটি পৃথক সংস্থাকে একীভূত ও সুসমন্বিত করে ১৯৭৪ সালে বিবিএস প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে বিবিএসের সার্বিক কর্মকাণ্ড সমন্বয়, তত্ত্বাবধান ও সাচিবিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় পরিসংখ্যান বিভাগ।
তিনি বলেন, পরিসংখ্যান একটি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির পরিমাপক। আমি বিশ্বাস করি, টেকসই উন্নয়ন-পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সঠিক, নির্ভরযোগ্য এবং সময়োপযোগী পরিসংখ্যান ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। আওয়ামী লীগ সরকার সবক্ষেত্রে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য গ্রহণযোগ্য ও মানসম্পন্ন পরিসংখ্যান সংগ্রহ ও প্রকাশ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। করোনার সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানিক তথ্য-উপাত্তের গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা সংকটকালে সরকার নগদ সহায়তা ও প্রণোদনাসহ সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে মৃত্যুহার হ্রাস এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি মনে করি, জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস পালনের মাধ্যমে দেশবাসীকে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করার একটি অনন্য সুযোগ। আমরা সময়োপযোগী সঠিক পরিসংখ্যানের সাহায্যে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ করে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো। আমি ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস-২০২২’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।