নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনছুর রহমান বলেন, মৃত পলি খাতুনের (৩০) বাড়ি নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার সোনাপাতিল এলাকায়। তিনি নলডাঙ্গা পৌর কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম পিয়াসের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন।
তিনি জানান, পলি রাজশাহী ল কলেজ থেকে ফাইনাল পরীক্ষা শেষে ইন্টার্নশিপের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি এক ভাড়া বাসায় তার ২৬ বছর বয়সী ভাগনিকে নিয়ে থাকতেন। সোমবার রাতে তিনি স্বামীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে ঘুমাতে যান। মঙ্গলবার সকালে তার ভাগনি তাকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের ফোনে বিষয়টি জানায়। তারা এসে ঘরের দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে পলির মরদেহ ঝুলতে দেখে।
পৌর কাউন্সিলর পিয়াস বলেন, পাঁচ বছর আগে আমরা ভালোবেসে বিয়ে করি। এত দিন পর এসে পলির মা-বাবা তার অন্য জায়গায় বিয়ে দিতে চাচ্ছিল। আমাদের মধ্যে বনিবনা ঠিক ছিল। তবে পলি তার মা-বাবার বিষয়টি নিয়ে মানসিক অশান্তিতে ছিল। রাতেও এ বিষয়ে কথা হচ্ছিল।
ওসি বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।