বুধবার (২ মার্চ) ঢাকা কলেজে শহীদ আ.ন.ম. নজিব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে একাদশ শ্রেণির ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, এখন থেকে নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষাসহ অন্যান্য শিক্ষা কার্যক্রম আগের মতো চলবে। করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছে তা আগামী দুই শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যেন দ্রুতই শিক্ষা কার্যক্রমের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা যায়। করোনার সংক্রমণ রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছে তা আগামী দুটি শিক্ষাবর্ষে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আজ আমি ঢাকা কলেজে উপস্থিত হলেও কথা বলছি সব শিক্ষার্থীর জন্য। করোনার এই দীর্ঘ সময় ধরে অনেক শিক্ষার্থীকেই একটি ট্রমার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। আশা করি নিয়মিত ক্লাস শুরু হলে তোমরা দ্রুতই সবকিছু গুছিয়ে নেবে। পূর্বের ঘাটতি পূরণ করতে পড়াশোনায় তোমাদের আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে।
দেশের প্রতি শিক্ষার্থীদের দায়বদ্ধতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের যিনি জন্ম দেন শুধু তিনিই মা নন। ভাষা আমাদের মা। দেশ আমাদের মা। এই তিন মাকে যখন তোমরা ভালোবাসতে পারবে তখনই একজন ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারবে। দেশের প্রতি যে দায়বদ্ধতা রয়েছে তা পূরণে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
ওরিয়েন্টেশনে ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ.টি.এম. মইনুল হোসেন। ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার। ঢাকা কলেজের নিবিড় পর্যবেক্ষণ উপকমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক পুরঞ্জয় বিশ্বাস প্রমুখ।