সম্প্রতি কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিগুলো হলো: সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, লিবরা ইনফিউশনস, একটিভ ফাইন কেমিক্যাল, আমান কটন ফাইবার্স, এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস, প্রোগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ইনটেক, ইমাম বাটন এবং ডেল্টা স্পিনার্স।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানিগুলো ২০২০ সালের ৩০ জুন অথবা ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিএসইসিতে দাখিল করেনি। ফলে কোম্পানিগুলো পৃথকভাবে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০ এর রুলস ১৪(৪) এবং ২০১৮ সালের ২০ জুন জারি করার নির্দেশনার ৪ ও ৫ নম্বর শর্ত লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও ইনটেকের ২০১৯ ও ২০২০ সালের সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন দাখিল না করার কারণ জানতে চেয়েছে কমিশন।
বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০ এর রুলস ১৪(৪) এবং ২০১৮ সালের ২০ জুন জারি করার নির্দেশনার ৪ ও ৫ নম্বর শর্ত অনুযায়ী, কোম্পানিগুলোর নির্ধাররিত সময়ের মধ্যে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন বিএসইসিতে দাখিলের বাধ্যবাধকতা আছে। তবে কোম্পানিগুলো ২০২০ সালের ৩০ জুন অথবা ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে বর্ধিত সময়ের মধ্যেও দাখিল করেনি। এমনকি কোম্পানিগুলো প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আরও সময় প্রয়োজন কি না, তাও অবহিত করেনি। ফলে কোম্পানিগুলো বিএসইসির বিধি ও নির্দেশনা সরাসরি লঙ্ঘন করছে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এ পরিস্থিতিতে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ১১(২) অনুযায়ী এ চিঠি জারির পর সাত কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোম্পানিগুলোর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।