সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে ৯৭১ কোটি ৬৪ লাখ ৭৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৭৭ কোটি ২১ লাখ ৮৮ হাজার ৯৩৩ টাকা বেশি। গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৭৯৪ কোটি ৪২ লাখ ৮৪ হাজার ১২৭ টাকা।
চলতি সপ্তাহে ডিএসইতে ৪ কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে ৫ কর্মদিবস লেনদেন হয়েছিল। এ হিসাবে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে।
আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ৩ হাজার ৮৮৬ কোটি ৫৮ লাখ ৯২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৯৭২ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ৮৫ কোটি ৫৫ লাখ ২৮ হাজার টাকার বা ২.১৫ শতাংশ লেনদেন কমেছে।
ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ৯৭ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ৭৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আলোচিত সপ্তাহে বাজারমূলধনের শীর্ষ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩৩ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৪৫৮ পয়েন্টে উঠেছে।
অন্যদিকে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১৮ দশমিক ৯১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩২ শতাংশ বেড়েছে।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৯১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৫৯টির, কমেছে ১০৩টির। আর ২৪টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।
অন্যদিকে ডিএসইতে বাজার মূলধনেও ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ৫ হাজার ৬৮৬ কোটি ৫৬ লাখ ৭৬ হাজার ২৩৯ টাকা বা ১ দশমিক ০৬ শতাংশ বাজার মূলধন বেড়েছে।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫৩ লাখ ৫ হাজার ১০৬ কোটি ৬ লাখ ৬ হাজার ৭৩১ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫৪ লাখ ৭ হাজার ৯২ কোটি ৬২ লাখ ৮২ হাজার টাকায়।