বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো যৌথভাবে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের রপ্তানি বাণিজ্যে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, এ উদ্যোগ আগামী দিনগুলোতে রপ্তানিকারকদের আরও ভালো করার প্রেরণা যোগাবে। তিনি রপ্তানি ট্রফি অর্জনকারী কৃতি রপ্তানিকারকদেরও আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, কোভিড অতিমারির প্রাদুর্ভাবের পর দেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা অক্ষুণ্ণ রেখে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে এ সময় বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ও নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশের রপ্তানি বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশের জিডিপিতে রপ্তানি খাতের অবদান ক্রমাগত বাড়ছে— উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে। এর ফলে স্বল্পোন্নত দেশ থাকাকালে প্রাপ্ত অনেক অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা ভবিষ্যতে আর থাকবে না। এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে এখন থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধিতে মনোযোগী হতে হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, রপ্তানি বাণিজ্যে টিকে থাকার জন্য পণ্যের মানোন্নয়নের পাশাপাশি নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি, বর্তমান বাজারকে সংহত করা এবং নতুন নতুন পণ্য রপ্তানি তালিকায় যুক্ত করতে হবে। এছাড়া রপ্তানিকারক প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিক-কর্মচারীদের দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে রপ্তানি ট্রফি দেওয়ার মতো প্রণোদনামূলক কার্যক্রম রপ্তানিকারকের সক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সফল হোক— এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করে রাষ্ট্রপতি জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৭-২০১৮ প্রদান অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করেন।