দুই কোম্পানির স্পন্সর শেয়ার হস্তান্তরের নথিপত্র চেয়েছে বিএসইসি

দুই কোম্পানির স্পন্সর শেয়ার হস্তান্তরের নথিপত্র চেয়েছে বিএসইসি
পুঁজিবাজারে এসএমই প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্তির অপেক্ষায় থাকা আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ এবং এক্সিট প্ল্যানের (তালিকাচ্যুত) অপেক্ষায় থাকা খাজা মোজাইক টাইলস অ্যান্ড স্টোন ইন্ডাস্ট্রিজের স্পন্সরদের শেয়ার হস্তান্তরের আগে বেশকিছু নথিপত্র চেয়েছে বিএসইসি। কোম্পানি দুটিকে শিগগিরই ওই নথিপত্র কমিশনে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

স্পন্সরদের (উদ্যোক্তা) শেয়ার হস্তান্তর করতে চায় কোম্পানি দুটি। ইতোমধ্যে কোম্পানি দুটি তাদের স্পন্সরদের শেয়ার হস্তান্তরের অনুমতি চেয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করেছে।

সম্প্রতি আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ ও খাজা মোজাইক টাইলস অ্যান্ড স্টোন ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই চিঠি জারি করার তিন কার্যদিবসের মধ্যে কোম্পানিটির স্পন্সরদের শেয়ার স্থানান্তরের প্রস্তাবিত সম্পর্কিত নথিপত্র কমিশনে দাখির করতে নির্দেশ দেওয়া হলো।

শেয়ার স্থানান্তরের বিষয়ে চিঠিতে যেসব নথি চাওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো—সিডিবিএলের ডিপিএ-৬ এর অনুলিপি অথবা রেজিস্ট্রেশন অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের (আরজেএসসি) প্রত্যায়িত শিডিউল-এক্সসহ শেয়ার সার্টিফিকেটের অনুলিপি, ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট এবং সিআইবি আন্ডারটেকিংসহ সম্ভাব্য ক্রেতাদের ব্যবসায়িক প্রোফাইল, কোম্পানিকে ঋণদাতা ব্যাংক থেকে একটি অনাপত্তিপত্র সার্টিফিকেট, লিস্টিং ফি নিষ্পত্তি করার অবস্থা (বকেয়া বা পরিশোধ যেটাই হোক), সার্টিফিকেট মামলা এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত শাস্তির নিষ্পত্তির পরিকল্পনা (যদি থাকে), মুলতুবি থাকা বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) নিয়মিত করার পরিকল্পনা (যদি থাকে), অবণ্টিত লভ্যাংশ বা অন্য কোনো বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের দাবির নিষ্পত্তির তথ্য, কোম্পানিটির অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) বা এসএমইতে স্থানাস্তর বা এক্সিট সিস্টেমের (তালিকাচ্যুত) অধীনে বিনিয়োগকারীদের তহবিল নিষ্পত্তির জন্য প্রস্তাবিত ক্রেতার পরিকল্পনার তথ্য এবং সর্বশেষ কোম্পানিটি পরিচালনার জন্য শেয়ার মূলধন ব্যতীত অন্য তহবিলের সম্ভাব্য উৎস সম্পর্কিত তথ্য।

এছাড়া, ব্যবসা চালানো বা পরিচালনার জন্য একটি বিশদ কর্মপরিকল্পনা ও টেকওভারের পর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ কিভাবে রক্ষা করা হবে তা দেখিয়ে একটি বিবৃতি চিঠিতে চাওয়া হয়েছে।

কোম্পানি দুটির এসব প্রদান সাপেক্ষে যাচাই-বাছাই শেষে বিএসইসি সার্বিক দিক বিবেচনা করে তাদের স্পন্সরদের শেয়ার স্থানান্তরের অনুমতি দেবে বলে জানা গেছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত