রিয়াল এদিন নিজেদের মাঠে চেলসির বিপক্ষে খুব একটা ভালো ফুটবল উপহার দিতে পারেনি। ম্যাসন মাউন্ট, আন্তোনিও রুডিগার ও মাতেও কোভাসিচের গোলে ৭৫ মিনিটের মধ্যে ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে রিয়াল। দুই লেগ মিলিয়ে চেলসি তখন ৪-৩ গোলে এগিয়ে। ৮০ মিনিটে রদ্রিগোর গোলে দুই লেগ মিলিয়ে সমতায় ফেরে রিয়াল। অ্যাওয়ে গোলের হিসাব এখন আর নেই বলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৯৬ মিনিটে করিম বেনজেমার গোলে দুই লেগ মিলিয়ে এগিয়ে যায় মাদ্রিদের ক্লাবটি, ৫-৪ গোলের অগ্রগামিতায় সেমিফাইনালে ওঠে তারা।
এ ম্যাচ নিয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেছিলেন বার্সেলোনার কোচ জাভি হার্নান্দেজকে। রিয়ালের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘বার্সেলোনার ইতিহাস দেখুন। ক্রুইফ এখানে এসে ভালো খেলার একটা ভিত তৈরি করেছেন। আমাদের ভালো খেলে জিততে হয়। কাতালানরা এভাবে খেলে। মাদ্রিদের বিষয়টা আমি জানি না, তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। কিন্তু বার্সার গল্পটা ভিন্ন।’
সেই ভিন্ন গল্পটা কী, একটু পরেই ব্যাখ্যা করেছেন জাভি, ‘আমাদের যেমন জয় পাওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে, তেমনি বাধ্যবাধকতা আছে ভালো খেলার। ১-০ গোলে জয় আর সেটাও ৯০ মিনিটের গোলে, এটা আমাদের এখানে চলে না। আমরা বার্সেলোনা। আমরা যেটাই করি না কেন, দুর্দান্তভাবে করি। এর কোনো তুলনা নেই। বার্সেলোনা কঠিন এক জায়গা, এখানে চাহিদা অসীম।’
২০০৫ থেকে ২০১৫—এই ১০ বছরে বার্সেলোনা চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ও সাতটি লা লিগা শিরোপা জিতেছে। ২০০৯ সালে তো এক বছরে সর্বোচ্চ পাঁচটি শিরোপা জয়ের অনন্য এক কীর্তি গড়েছিল জাভি-মেসিদের বার্সেলোনা। সেবার লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগ, কোপা দেল রে, স্প্যানিশ সুপার কাপের সঙ্গে তারা জিতেছিল ক্লাব বিশ্বকাপ। সেই বার্সেলোনারই অনেক দিন থেকে বাজে সময় যাচ্ছে। এবার তো চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়েছে কাতালানরা। এখন তারা খেলছে ইউরোপা লিগে।
তবে জাভি কোচ হয়ে আসার পর নিজেদের আবার ধীরে ধীরে ফিরে পাচ্ছে বার্সেলোনা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১৫ ম্যাচে অপরাজিত তারা। ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে আজ আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে ম্যাচের আগে জাভি আরেকবার তাঁর খেলোয়াড়দের ভালো ফুটবল উপহার দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন, ‘আমরা উন্নতি করেছি। কিন্তু এখনো সবকিছু পাওয়া হয়নি। ফুটবলার মানেই তাদের মধ্যে জয়ের মানসিকতা থাকে। বার্সেলোনায় তো এটা প্রতিদিনই থাকতে হবে।’