বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) রাতে আইনট্রাখট ফ্রাংকফুর্টের বিপক্ষে ইউরোপার কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে হেরে বিদায় নিয়েছে বার্সেলোনা। ফ্রাংকফুর্টের মাঠে প্রথম লেগের ম্যাচ ছিল ১-১ গোলে ড্র। দ্বিতীয় লেগে ন্যু ক্যাম্পে এসে ৩-২ গোলে জিতে ৪-৩ গোলের অগ্রগামিতায় সেমিফাইনালে উঠে গেছে ফ্রাংকফুর্ট।
অবশ্য মাঠটি বার্সেলোনার নিজেদের হলেও, ম্যাচজুড়ে দাপট ছিল অতিথি ক্লাবটির সমর্থকদের। ম্যাচের অনেক আগে থেকেই ন্যু ক্যাম্পের বাইরে ভিড় জমাতে থাকেন ফ্রাংকফুর্ট সমর্থকরা। পরে ম্যাচ শুরুর আগে বার্সা সমর্থকদের কাছ থেকে বেশি দাম দিয়ে টিকিট কিনে গ্যালারির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন তারা।
ঘরের মাঠে নিজেদের সমর্থকদের উতসাহ-অনুপ্রেরণা না পাওয়া বার্সেলোনা পুরো ম্যাচজুড়েই সাজিয়েছিল পাসিং ফুটবলের পশরা। ম্যাচের পুরো সময়ের মধ্যে অন্তত ৭৫ শতাংশ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল তাদের দখলে। সারা ম্যাচে প্রায় ছয়শর বেশি পাস দেয় তারা। কিন্তু কাজের কাজ গোল করায় পারদর্শিতা দেখায় ফ্রাংকফুর্ট।
ম্যাচের মাত্র তিন মিনিটের মাথায় ডি-বক্সের মধ্যে প্রতিপক্ষ দলের ইয়াসপের লিন্ডস্ট্রোমকে পেছন থেকে ফাউল করেন এরিক গার্সিয়া। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ম্যাচের শুরুতেই এমন সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে দলকে এগিয়ে দিতে একদমই ভুল হয়নি ফিলিপ কোস্তিচের।
বিরতিতে যাওয়ার আগে ম্যাচের ৩৬ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফ্রাংকফুর্ট। এবার স্কোরশিটে নাম তোলেন রাফায়েল সান্তোস মৌরি। আর ম্যাচের ৬৭ মিনিটে গিয়ে কোস্তিচের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় গোলে ফ্রাংকফুর্টের সেমির টিকিট প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়।
তবে তখনও বাকি ছিল বার্সেলোনার আক্ষেপের দীর্ঘশ্বাস। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হওয়ার অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে বার্সার হয়ে ব্যবধান কমান সার্জিও বুসকেটস। এর খানিক পরেই ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হন লুক ডি ইয়ং, লাল কার্ড দেখেন এভান দিকা। পেনাল্টি থেকে বার্সার হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন মেমফিস ডিপাই।
শেষ দিকে এ দুই গোল করার পর আরও বেড়ে যায় বার্সার আক্ষেপ। কেননা ৮৪ মিনিটের মাথায় ভিএআর দেখে বাতিল হয় তাদের একটি গোল, এর আগে ৪৭ মিনিটের মাথায় ফাঁকা জাল পেয়েও গোল করতে পারেননি এমেরিক আউবেমেয়াং আর শেষ দিকে সহজ সুযোগ মিস করেন রোনাল্ড আরাউহো।
এতসব সুযোগ মিসের মাশুলটা দিতে হয়েছে ইউরোপা থেকে বাদ পড়ে। ফ্রাংকফুর্টের পাশাপাশি সেমিফাইনালে উঠেছে আরবি লাইপজিগ, রেঞ্জার্স ও ওয়েস্ট হ্যাম। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে হবে চার দলের ফাইনালে ওঠার লড়াই।