রুবেল শেষ কিছুদিন ভর্তি ছিলেন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে। মাঝে তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে সেই খবর ভুল প্রমাণ করে আগের থেকে কিছুটা সুস্থ বোধ করে বাসায় ফিরে গিয়েছিলেন রুবেল। কিন্তু এবার আর শেষ রক্ষা হলো না। না ফেরার দেশে চলেই গেলেন জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার।
গত বছরের অক্টোবরে শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় আইসিউইতে নেওয়া হয়েছিল ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেলকে। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যান তিনি। সবশেষ গত ২০ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে ডাক্তার দেখিয়ে আসেন। তবে দেশে ফিরে আবার বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এজন্য কিছুদিন পর আবার হাসপাতালের আইসিউইতে নেওয়া হয় রুবেলকে।
২০১৯ সালে মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়লে মাঠ থেকে ছিটকে পড়েন রুবেল। চিকিৎসা নিয়ে প্রায় সেরে উঠলেও নতুন করে টিউমার ধরা পড়ে তার মস্তিষ্কে। নতুন করে টিউমার ধরা পড়ায় শঙ্কায় পড়ে যায় রুবেলের জীবন। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা এই ক্রিকেটার সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা করান।
ভালো না হওয়ায় গত বছরের নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভারতের একটি হাসপাতালে আবারও অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রুবেলের ব্রেন টিউমার অপসারণ করা হয়। তবে তাতেও খুব একটা উন্নতি হয়নি।
বয়সটা কেবল ৩৯-এ পড়েছে। জাতীয় দলের পাঠ চুকালেও ঘরোয়া ক্রিকেটের সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারটা আরও সমৃদ্ধ করার সুযোগ ছিল রুবেলের সামনে। অথবা জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন সতীর্থের মতো কোচিংয়েও থিতু হতে পারতেন, বসতে পারতেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কোনো চেয়ারে। যেমনটি বসেছেন শাহরিয়ার নাফীস, আব্দুর রাজ্জাকরা। রুবেল ছুটেছেন এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে। এবার সব চেষ্টাকে মিথ্যে প্রমাণ করে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন মোশাররফ রুবেল।