তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীতে যে যেই ধর্মেরই আছেন- সবাইকে আমরা ধর্ম পালনে উৎসাহিত করি। যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন তারা ভালো করেন। আর যারা পড়েন না তাদেরও উচিত চেষ্টা করা। একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে সমাজে, পরিবারে ও রাষ্ট্রে তার ভূমিকা পালন করবেন। শুধু আচরণে নয় বিশ্বাসেও ধর্মীয় চেতনাকে লালন করতে হবে।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ পুলিশের বার্ষিক আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা-২০২২ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আইজিপি।
সুদ-ঘুস, জুয়া খেলা, মাদক- ইসলামে বারণ করে দেওয়া আছে জানিয়ে ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, যে যেই ধর্মেরই হোক না কেন, ধর্ম পালনের মাধ্যমে মানুষের নৈতিক মনোবল সুদৃঢ় হয়। কারণ সব ধর্মেই ভালো কাজ করার উপদেশ দেওয়া হয়, অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আইজিপি বলেন, আমাদের বাহিনীর প্রত্যেক সদস্য, যারা যে ধর্মের আছেন তারা তাদের ধর্মের যে বিধানাবলী আছে তা পালনের চেষ্টা করবেন। বিশেষ করে যারা মুসলমান আছেন তারা পবিত্র কোরআনে যে বিধানাবলী আছে, কোরআন-হাদিসে যে পরামর্শগুলো আছে তা তাদের প্রাত্যহিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিপালনের চেষ্টা করলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।
এ সময় তিনি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর মধ্যে ধর্মীয় চর্চার ক্ষেত্রে আজান ও কেরাত প্রতিযোগিতার গুরুত্ব রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত আইজি মো. মাজহারুল ইসলাম। এ সময় অতিরিক্ত আইজি, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য এবং মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিযোগিতায় আজানে প্রথম হয়েছেন নৌ-পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এএসআই (নিরস্ত্র) এম মহিউদ্দিন, দ্বিতীয় নোয়াখালী জেলা পুলিশের কনস্টেবল মো. মনিরুল ইসলাম এবং তৃতীয় হয়েছেন কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের কনস্টেবল মো. মুসলিম উদ্দিন।
কেরাতে প্রথম হয়েছেন স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) কনস্টেবল মো. শরীফ উদ্দিন, দ্বিতীয় র্যাব-১৩ রংপুরের এএসআই (সশস্ত্র) মো. ওমর ফারুক এবং তৃতীয় হয়েছেন রাজশাহী পুলিশ একাডেমির নায়েক মো. আরিফুর রহমান।
‘জঙ্গিবাদ দমনে ইসলামের ভূমিকা’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন নৌ-পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এএসআই (নিরস্ত্র) এম মহিউদ্দিন, দ্বিতীয় স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) উচ্চমান সহকারী শেখ রেজাউল কবির এবং তৃতীয় হয়েছেন টিঅ্যান্ডআইএমের বেতার কনস্টেবল মো. ইব্রাহীম হোসেন।
বাংলাদেশ পুলিশের সব ইউনিটের সাব ইন্সপেক্টর থেকে তদনিম্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্য ও সিভিল স্টাফরা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানে আজান ও কেরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারীরা আজান দেন এবং কোরআন তেলাওয়াত করে শোনান।