এটির গতি এখন উত্তর-পশ্চিম দিকে। দিক পরিবর্তন না করে এভাবে এগিয়ে গেলে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার পর তা ভারতের উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যা উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া বিভাগ।
শনিবার (৭ মে) দুপুরে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সানাউল হক মন্ডল গণমাধ্যমে বলেন, গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। শনিবার সকালেও এটি সুষ্পষ্ট লঘুচাপ হিসেবেই রয়েছে। এটি সামান্য উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়েছে। সে হিসেবে এটি বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
তিনি বলেন, আজ সন্ধ্যা বা সন্ধ্যার পরে কোনো এক সময় এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আমরা এটি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছি। সিস্টেমটির গতি আপাতত উত্তর-পশ্চিম দিকে আছে। নিম্নচাপ হওয়ার পরও এটি উত্তর-পশ্চিম দিকেই এগোতে পারে। সে অনুযায়ী এটি উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (মৌসুম ভবন) জানিয়েছে, সিস্টেমটি রোববার (৮ মে) সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আগামী ১০ মে ভারতের উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
শুক্রবার (৬ মে) সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা ও সিলেট বিভাগ ছাড়া সব বিভাগেই কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৭৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে তাড়াশে। ঢাকায় ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।