একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোমে ‘টাকিস’ নামে একটি বায়োটেকনলজি সংস্থার বিজ্ঞানীরা ইঁদুরের দেহ থেকে করোনাভাইরাসের ‘অ্যান্টিবডি’ আলাদা করতে সক্ষম হয়েছেন। আর এই অ্যান্টিবডি মানব দেহকোষে করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে আটকে দিতে সক্ষম। প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীদের দাবি, রোমেরই ‘স্প্যালেনজানি ইনস্টিটিউট’-এ এই টিকার পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানেই আশানুরূপ ফল মেলার পর মানবদেহে প্রয়োগেও উল্লেখযোগ্য ফল মিলেছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ভ্যাকসিন ভাইরাসের ‘স্পাইক’ প্রোটিনকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ভ্যাকসিনটি সরাসরি পেশির মধ্যে ইঞ্জেক্ট করতে হবে। গবেষকদের দাবি, এর ফলে মানব শরীরে কার্যকরী অ্যান্ডিবডি তৈরি হবে, যা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে দেবে। ফলে শেষ পর্যন্ত শরীরের মধ্যে করোনাভাইরাস নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়বে।
টাকিস-এর সিইও লুইগি আউরিসিকো জানিয়েছেন, তাঁরা চাইছেন, এই ভ্যাকসিন দ্রুত উৎপাদন করে আন্তর্জাতিক স্তরে ছড়িয়ে দিতে।
এর আগেও একাধিকবার করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন অথবা প্রতিষেধক তৈরির খবর সামনে এসেছে। আবার পরে তা হতাশও করেছে। ইতালির বিজ্ঞানীদের এই দাবি সত্যি হলে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কার্যত জয় পাওয়া যাবে বলেই আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।