বিশ্বের ১৩০ দেশের নার্সদের নিয়ে গঠিত ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব নার্সেস’ (আইসিএন) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলছে, করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত কিংবা তাদের প্রাণহানি ঘটলেও তার সঠিক হিসাব রাখতে ব্যর্থ সরকারগুলো।
সংগঠনটির দাবি, সরকারের ব্যর্থতায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মীর সংক্রমিত কিংবা মৃত্যুর বিষয়টি সামনে আসছে না। তারা ৩০টি দেশের তথ্য সংগ্রহ করে এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, অন্তত ৯০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া ২৬০ জনের বেশি নার্সের মৃত্যু হয়েছে।
আইসিএনের বিবৃতি অনুযায়ী, ‘হাজারো নার্স কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কিন্তু প্রকৃত সংখ্যাটা কত তা হিসাব সরকারগুলো দিচ্ছে না। কারণ তারা এই তথ্য সংগ্রহই করছে না। প্রকৃত তথ্যের ঘাটতির কারণে কতজন আক্রান্ত হয়েছেন কিংবা মারা গেছেন তা অনেক কম করে দেখানো হচ্ছে।’
প্রকৃত হিসাব না থাকায় স্বাস্থ্যকর্মীসহ রোগীরা মারাত্মক ঝূঁকির মুখে রয়েছেন। তাই সংস্থাটি প্রত্যেক দেশে জাতীয়ভাবে স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার রেকর্ড রাখার জন্য সরকারগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও যেন এই হিসাব রাখে তার দাবি করেছে তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি তৎপর দেখা যাচ্ছে না। সর্বশেষ গত ১১ এপ্রিল ডব্লিউ এইচও জানায়, বিশ্বের ২২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত। এরপর এ নিয়ে কেনো তথ্য জানানো হয়নি। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে বিষয়টি নিয়ে আরও বেশি তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আইসিএন।
১৩০ দেশের ২ কোটিরও বেশি নার্স সংস্থাটির নিবন্ধিত সদস্য। করোনা প্রাদুর্ভাব শুরুর পর বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় বেশ সোচ্চার এই সংগঠন। কেননা বিশ্বের অধিকাংশ দেশের স্বাস্থ্যকর্মী ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের (পিপিই) সংকটে। এ নিয়ে অনেক দেশে স্বাস্থ্যকর্মীরা বিক্ষোভ-অনশনও করেছেন।