বিএসইসির সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) কাছে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, কোনো বিও অ্যাকাউন্ট ব্লক কিংবা বন্ধ থাকলে শেয়ার কেনাবেচার করার সুযোগ নেই। কেউ যাতে এই কাজ না করে সে জন্য এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিএসই সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বিদেশীদের শেয়ার বিক্রিতে বন্ধ বিও থেকে ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজের বিরুদ্ধে বেআইনী সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে। এজন্য প্রতিষ্ঠানটির কাছে ব্যাখ্যা চায় বিএসইসি।
তিনি বলেন, যে বিও সঠিক তথ্যের মাধ্যমে খোলা হয়েছে এবং যে বিওতে সিকিউরিটিজ আছে, শুধুমাত্র ওই বিও থেকেই শেয়ার বিক্রি করা যাবে। এক বিওর সিকিউরিটিজ অন্য বিও দিয়ে বিক্রি করা যাবে না।
বিএসইসির তথ্য মতে, চার বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিদেশি বিনিয়োগকারী বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসির শেয়ার কাস্টডিয়ান হিসাবে রক্ষিত রয়েছে। এই বিও হিসাব থেকেই গত ১১ মে বড় অংকের শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এ ঘটনাকে অস্বাভাবিক বলে মনে করে বিএসইসি। এ কারণে বিও হিসাব পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চায় বিএসইসি। এইচএসবিসির কাছেও ব্যাখ্যা তলব করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এই অস্বাভাবিক লেনদেনের আলোকে কমিশন আজ বন্ধ বা ডামি বা ফেক বিও হিসাব থেকে লেনদেন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে চিঠি ইস্যু করেছে।
চিঠিতে কমিশন জানিয়েছে, বিএসইসির মার্কেট সার্ভাইল্যান্স অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের পর্যবেক্ষণে বন্ধ/ডামি/ফেক বিও থেকে নিয়মিত লেনদেন করার বিষয়টি উঠে এসেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে এ ধরনের বিও থেকে লেনদেন করার কোনো উদাহরণ নেই। এছাড়া দেশে এ জাতীয় লেনদেন করা ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ব্যাখ্যাও সন্তোষজনক নয়। এমনকি কোন আইনে এ জাতীয় বিও থেকে লেনদেন করা যায়, তা উল্লেখ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।এই পরিস্থিতিতে কমিশন সঠিক (জেনুইন) বিও দিয়ে লেনদেন করার নির্দেশ দিয়েছে।