এদিকে চলতি মাসের শুরু থেকেই কমছে ইথোরিয়াম ও বাইনান্সের দাম। এসময়ের মধ্যে ইথোরিয়ামের দাম আগের তুলনায় কমেছে অন্তত ৯৩০ ডলার, বাইনান্সের দাম কমেছে ৯৪ ডলার।
টালমাটাল এমন পরিস্থিতিতে চলতি মাসের ১৯ দিনে বৈশ্বিক ক্রিপ্টো মার্কেটের ৪০ শতাংশের প্রতিনিধিত্বকারী বিটকয়েনের দাম ৯ হাজার ২৪৭ ডলার কমে বিটকয়েন প্রতি ২৯ হাজার ১৭৮ ডলারে পৌঁছেছে, যা জানুয়ারির পর থেকে সর্বনিম্ন। ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রতি বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ক্রমাগত উদ্বেগের ফলে এমন মূল্য হ্রাস পেয়েছে বলে মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেও প্রতি বিটকয়েনের দাম ছিল ৪২ হাজার ৩৮১ ডলার।
নতুন শুরু হওয়া ডিজিটাল মুদ্রার বাজারে বর্তমানে অস্থির অবস্থা চললেও এক বছর আগে অপেশাদার ও নিয়মিত বিনিয়োগকারীদের জন্য দ্রুত মুনাফা অর্জনে একটি আকর্ষণীয় খাত ছিল ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট। ফলে শুরুতে দ্রুতই জনপ্রিয়তা ও মূল্য পেতে থাকে ডিজিটাল মুদ্রাগুলো। এর মধ্যে অনেকেই এর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার জন্য বিনিয়োগ করেছেন এবং পরে লোকসানের মুখোমুখি হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) এর আগে থেকেই এক সপ্তাহ ধরে ক্রিপ্টো মার্কেটের অবস্থা অনেকটা নড়বড়ে ছিল। এর আগে বিটকয়েনের মাধ্যমে টেসলার গাড়ি ক্রয়ের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার পরই ডিজিটাল এ মুদ্রার দাম ১২ শতাংশ কমে যায়। ডিজিটাল মুদ্রা তৈরিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কার্বন নিঃসরণের কারণে জলবায়ু সচেতনতার অংশ হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নেন মাস্ক। এছাড়া বিটকয়েন নিয়ে মাস্কের পরস্পরবিরোধী কিছু টুইট বিনিয়োগকারীদের বেশ অস্বস্তির মধ্যে ফেলেছে।
গত বছর চীনে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত দেয়ার পর সেসময় সবচেয়ে বড় ধরনের দরপতন ঘটেছিলো ডিজিটাল মুদ্রার বাজারে। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকগুলোর প্রতি যেকোনো ধরনের সেবার বিনিময়ে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে মূল্য গ্রহণ করতে নিষেধাজ্ঞা দেয় চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এমন সতর্কতার পর স্বাভাবিকভাবেই ক্রিপ্টো মার্কেটে তৈরি হয়েছিলো নানা অস্থিরতা। বিটকয়েনসহ অন্য ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলো ব্যাপক দরপতনের মুখে পড়েছিলো।
অনেক আগে থেকেই ক্রিপ্টো মার্কেটের ওপর চীনের নানা নিষেধাজ্ঞা ছিল। এর আগে দেশটি ঘোষণা দেয় ক্রিপ্টোকারেন্সি কোনো আসল মুদ্রা নয় এবং যেকোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এটির ব্যবহার করা যাবে না। তবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়।এমন বিবৃতি ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে দেশটির নেতিবাচক মনোভাব স্পষ্ট করে তোলে। যদিও ডিজিটাল মুদ্রার বাজারে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রাখতেও যথেষ্ট সচেতনভাবেই পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা। রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে নতুন ডিজিটাল ইউয়ান চালু করেছে দেশটি। একই সঙ্গে এর মুদ্রাপ্রবাহ কড়া নজরদারির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।