শনিবার (২১ মে) বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবের উপর এফবিসিসিআইয়ের সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, মহামারির মধ্যে আমাদের উৎপাদন খরচ বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এমন সময় বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করার ফলে ক্ষতির সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। বিদ্যুৎ খাত আইনের বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ উন্নীত হয়েছে। এমন সময় গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ালে সকল পণ্যের দাম আরও বৃদ্ধি পাবে। জ্বালানি ও বিদ্যুতৎ খাতের পরিচালনা দক্ষতা, ন্যূনতম ব্যয় এবং বিতরণে আন্তর্জাতিক মান ও কৌশল অনুসরণ করা হয়নি। এছাড়া সরবরাহ ব্যবস্থা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালনা করা হয়নি।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, করোনা ও ইউক্রেন পরিস্থিতির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি, শিপিং ও পরিবহন ব্যয় অত্যধিক বেড়ে যাওয়ার প্রভাব আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে পড়ছে। উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় আমাদের রপ্তানি খাতের পক্ষে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকায় কঠিন হয়ে পড়ছে।
এমন অবস্থায় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবটি স্থগিত করার আহবান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। এছাড়া করোনা এবং ইউক্রেন সংকটের কারনে বিশ্বব্যাপী বর্তমান সংকট পরিস্থিতি প্রশমিত হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করারও অনুরোধ জানান তিনি। বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতির এই সংকটময় পরিস্থিতিতে এই বিশাল অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারকে ধন্যবাদ জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।