ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দুপুর সাড়ে ১২ পর্যন্ত দেশের এক্সচেঞ্জটির প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ ১৪০ পয়েন্ট বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে শরীয়াহ সূচক ‘ডিএসই এস’ ও বাছাই করা কোম্পানিগুলোর সূচক ‘ডিএসই ৩০’।
দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৫৪ টি কোম্পানিরই শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে মাত্র ১২টির। বাকি ১০টি কোম্পানির শেয়ারদর এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে।
গত ১০ মে থেকে শেয়ারবাজারে দরপতন শুরু হয়। টানা ৮ দিনের পতনের কারণে ডিএসই’র প্রধান সূচক ৫৫৬ পয়েন্ট হারায়। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদার এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহকে এক বৈঠকে শেয়ারবাজার স্থিতিশীল করতে কঠোর নির্দেশনা দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এ অবস্থায় পুঁজিবাজারের খারাপ অবস্থা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। যে করেই হোক বাজারকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। একটি সুন্দর স্থিতিশীল বাজারে পরিণত করতে হবে।
পুঁজিবাজার টেনে তুলতে এবার রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবির মাধ্যমে ব্যাংকের বিনিয়োগকে পুঁজিবাজারে এই প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার লিমিটের বাইরে রাখার নির্দেশনাও দেন অর্থমন্ত্রী।