শনিবার (০৯ মে) ইউরোপীয় ডে উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন ইইউ রাষ্ট্রদূত।
রেনেসে তিরিঙ্ক বলেন, আমি তিন বছর ধরে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করছি। এটা আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের। আমরা বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে কাজ করছি। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে আসছে। তবে কোভিড-১৯ এর কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারখানা বন্ধ রয়েছে, উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতালে সংখ্যাধিকেরও বেশি ভিড়। এই অবস্থায় আমরা বলতে চাই, এই মহামারির সময়ে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে এই সময়ে তিনটি বিষয়ে প্রাধান্য দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আমরা মানবিক সহায়তার পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতে সমস্যা নিরসনে জোর দিচ্ছি। দ্বিতীয়ত স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন ও পানি সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করছি। আর তৃতীয়ত আমরা মহামারির গবেষণা খাতকে শক্তিশালী করতে জোর দিচ্ছি।
করোনা পরিস্থিতির কারণে অন্যান্য বছরের মত এ বছর ইউরোপ ডে উদযাপন করা হচ্ছে না বলেও জানান ইইউ রাষ্ট্রদূত। তিনি বাংলাদেশ-ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন। এছাড়াও রেনেসে তিরিঙ্ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা জানান।