নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন সিদ্ধান্তে দুই দিন পর সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ৫০ পয়েন্ট, শতকরা হিসাবে দশমিক ৮১ শতাংশ।
ইতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচকেও। এ বাজারের প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১১৮ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়েছে।
ইউক্রেইন যুদ্ধ, ঊর্ধ্বমুখী আন্তর্জাতিক পণ্য বাজার আর ডলারের দাম চড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির আতঙ্ক ভর করেছে বেশ কিছু দিন থেকে। এতে শেয়ার বিক্রির হিড়িকে সূচক কমছে।
এমন প্রেক্ষাপটে আবারও পুঁজিবাজারে দৈনন্দিন শেয়ারদর কমার ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকারের সীমা ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশে নামায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এতে বৃহস্পতিবার থেকে আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইজের চেয়ে ২ শতাংশ দর কমার সুযোগ না থাকায় এদিন বেশির ভাগ শেয়ারের দাম কমেছে কম। আর দরপতনের ভয় কিছুটা কাটায় অনেক শেয়ারের ক্রেতা ফেরায় বেশির ভাগের দাম বেড়েছে, যা সূচক বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে।
ঢাকার বাজারে এদিন ৫৩৯ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে আগের দিনের চেয়ে ৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বেশি। বুধবার এ বাজারে ৫১৩ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছিল।
ডিএসইতে মোট ৩৭৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট হাতবদল হয়। এর মধ্যে ২৭৩ টির দর বেড়েছে, ৬১টির কমেছে এবং ৪০টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
ঢাকার অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১০ দশমিক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৭৩ দশমিক ৭১ পয়েন্ট হয়েছে। আর ডিএস৩০ সূচক ১৯ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৩০৭ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) এদিন সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। এ বাজারে ২৫৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩২টির দর বেড়েছে, ৮৮টির কমেছে এবং ৩৫টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ বাজারে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ১ কোটি ৫১ লাখ টাকা কমে ১৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা হয়েছে। বুধবার লেনদেন হয়েছিল ১৫ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার।