ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) এর উদ্যোগে “অংশীদারিত্বের মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করণ ” শীর্ষক ত্রিপক্ষীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পুঁজিবাজার উন্নয়নে “বিএসইসি, বিএপিএলসি এবং সিএমএসএফ-এর মধ্যে সংলাপের আয়োজন করা হয়।
সংলাপে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সব বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। তিনি আশ্বস্ত করেছেন দেশের শেয়ারবাজার স্তিতিশীল করতে সহসাই সব সমস্যা সমাধান হবে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজার অনেক বড় করতে হবে। এজন্য বর্তমান কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে দেশের পুঁজিবাজার অনেক ভাল হবে। সমস্যা অনেকাংশ কেটে যাবে।
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান বলেন, ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) গঠন করা হয়েছে সবার কল্যানে। সিএমএসএফের এর অর্থ কমবেনা। বরং বিনিয়োগের মাধ্যমে বাড়তে থাকবে।
তিনি বলেন, দেশের অনেক বড় প্রতিষ্ঠান আমানত রক্ষা করতে পারছেনা। তারা শেয়ার হোল্ডারদের পাওনা সময়মত বন্টন করছেনা। তারা সঠিকভাবে তথ্য উপস্থাপন করছেনা। তারা অনেকেই অন্যের সম্পদ রক্ষা করতে পারছেনা।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিএমএসএফের চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান’র সভাপতিত্বে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি) এর সভাপতি এম আনিস উদ দৌলা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপের শুরুতে প্যানেল আলোচনায় বক্তারা বলেন, বিভিন্ন সংকটের সময় আইসিবি পুঁজিবাজারে অর্থের যোগান দিয়ে থাকে। তবে সিএমএসএফ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সংকটের সময় অর্থের যোগান দেয়ার জন্য আরোও একটি প্রতিষ্ঠান পাশে পাওয়া যাবে।
বিএসইসির প্রাক্তন কমিশনার এবং শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ভাইস-চেয়ারম্যান আরিফ খান’র পরিচালনায় ডিএসই’র চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুসুর রহমান, সিএসই’র চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী সানাউল হক, বিএপিএলসি’র সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়াদ মাহমুদ প্যানেল আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আরো অনেক নতুন প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত করতে হবে। বড় প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত করতে পারলে একটি স্থিশীল পুঁজিবাজার গঠন সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
প্যানেল আলোচনায় আসিফ ইব্রাহিম বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারিদের আরোও বেশি আকৃষ্ট করতে পন্যের ডাইভারসিফিকেশন করতে হবে। একই সাথে বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা এখনও পুঁজিবাজারে আসেনি তাদের তালিকাভুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি) এর সভাপতি এম আনিস উদ দৌলা বলেন, এক সাথে কাজ করতে পারলে স্থিতিশীল পুঁজিবাজার তৈরি সম্ভব।