সরকার শর্তসাপেক্ষে ১০ মে থেকে দোকান ও শপিংমল খোলার অনুমতি দিলেও এ নিয়ে শনিবার (৯ মে) গাউছিয়া মার্কেট সমিতির অফিসে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১০টি মার্কেটের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সংশ্লিষ্টদের মতামতের ভিত্তিতে ঈদের আগ পর্যন্ত মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
মার্কেটগুলো হলো- গাউছিয়া, চাঁদনী চক, চিশতিয়া মার্কেট, নিউ চিশতিয়া মার্কেট, ইসমাইল ম্যানশন, নূর ম্যানশন, ধানমন্ডি হকার মার্কেট, ইস্টার্ন মল্লিকা, গোল্ডেন প্লাজা ও গ্রিন স্মরণিকা।
সভায় উপস্থিত সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনাভাইরাসে সৃষ্ট নানা কারণে দোকান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে অন্যতম গণপরিবহন বন্ধ। কারণ দূর থেকে ক্রেতারা মার্কেটে আসতে পারবেন না। অন্যদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। এছাড়া স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলাও সম্ভব নয় মনে করে উপস্থিত ব্যবসায়ী নেতারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
চাঁদনী চক বিজনেস ফোরামের সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে ঈদ পর্যন্ত এসব মার্কেট বন্ধ থাকবে। করোনাভাইরাসের প্রভাব কমছে না। কেউ একজন অসুস্থ হলে দায়ভার কে নেবে? পরিবহন বন্ধ থাকায় ক্রেতা আসবে না। তাই ঈদের আগে দোকান খোলার মতো ঝুঁকি নিচ্ছি না।
এর আগে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ঈদের আগে না খোলার সিদ্ধান্ত নেয় বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ও যমুনা ফিউচার পার্ক, বায়তুল মোকাররম মার্কেট, ঢাকা নিউমার্কেট, মৌচাক, আনারকলি মার্কেট, মোতালেব প্লাজাসহ অনেক মার্কেট।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে দোকানপাট ও শপিংমল খোলার সিদ্ধান্ত জানিয়ে গত ৪ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আগামী ১০ মে থেকে শপিংমল ও দোকানপাট খোলা যাবে। তবে তা বিকেল ৪টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার (৭ মে) ক্রেতার নিজ এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত শপিংমলে কেনাকাটা করতে নির্দেশনা দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তাদের নির্দেশনায় বলা হয়, প্রত্যেক ক্রেতাকে নিজ পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স) সঙ্গে রাখতে হবে।