ঢাকা টেস্ট শুরুর আগে বেশ আত্নবিশ্বাসী ছিলেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক। এই টেস্ট জয়ের সুযোগ হারাতে চান না বলে জানালেও নিজের আত্নবিশ্বাসের সঙ্গে কাজের মিল রাখতে পারেননি। দলের ব্যর্থতার সঙ্গে মুমিনুল নিজেও ছিলেন ব্যর্থ।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৪১ রানের লিড টপকাতে নেমে চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে ২৩ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশ মুশফিক-লিটনের ব্যাটে দিন শেষ করে ৩৪ রান তুলে।
পঞ্চম দিনে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ঘণ্টায় মুশফিকের বিদায় ঘণ্টা বাজে ২৩ রান করে দলীয় ৫৩ রানের মাথায়। এখান থেকেই দলকে লড়াইয়ে ফেরান সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস।
শেষ দিনের মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই শ্রীলঙ্কার ১৪১ রান টপকে ৮ রানের লিড নেয় বাংলাদেশ। সাকিব তুলে নেন ২৭তম অর্ধশতক। বিরতি থেকে ফেরার পরপরই লিটন বিদায় নেন ১৩তম অর্ধশতকের সঙ্গে ২ হাজার রান পূর্ণ করে ৫২ রানের ইনিংস খেলে।
লিটনের বিদায়ে বিপাকে পড়া দলকে বেশি দূর টেনে নিতে পারেননি সাকিব। দলীয় ১৫৬ রানে লিটনের বিদায়ের পর ১৬৩ রানের মাথায় বিদায় নেন সাকিব (৫৮)। আসিথা ফার্নান্দোর করা বলে ক্যাচ দেন উইকেট-রক্ষকের হাতে। আগের ইনিংসে শূন্য রানে ফেরা মোসাদ্দেক দলকে এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। মাত্র ৯ রান করে রমেশ মেন্ডিসের বলে এলবিডব্লু হয়ে ফেরেন সাজঘরে।
এরপর তাইজুল (১) ও খালেদ আহমেদের (০) রানে বিদায়ে ১৬৯ রানে থামলে মাত্র ২৮ রানের লিড পায় বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট পাওয়া আসিথা দ্বিতীয় ইনিংসে তুলে নেন ৬ উইকেট। রাজিথা নেন ২টি ও রমেশ মেন্ডিস নেন ১ উইকেট।
মাত্র ২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তিন ওভারের মধ্যে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সফরকারী শ্রীলঙ্কা। দলটির ওপেনার ওশাদা ফার্নান্দো ৯ বলে ২১ রান করে জয় তাড়াতাড়ি তুলে নেন।