উচ্চ মূল্যের কারণে সোনার অলংকারের ক্রেতা কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেন, নতুন করে সোনার অলংকার কেনার বদলে বাড়তি দামের সুযোগ নিতে অনেকেই এখন ব্যবহৃত বা পুরোনো স্বর্ণালংকার বিক্রি করতে দোকানে আসছেন।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যম ডলারের বিনিময় হার নিয়ে গত কিছুদিন ধরে অস্থিরতা বিরাজ করছে। টানা কয়েকদিন ডলারের দাম বেড়েছে। এই অবস্থায় বিশ্ববাজারের পাশাপাশি দেশের বুলিয়ন মার্কেটেও সোনার দাম বেড়ে যায়। তাই দাম সমন্বয়ের জন্য গত রোববার সোনার দাম বাড়ায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। তবে শুক্রবার (২৭ মে) থেকে সোনার দাম কিছুটা কমায় বাজুস। বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজার ও স্থানীয় বুলিয়ন মার্কেটে সোনার দাম কমেছে। কার্ব মার্কেটে মার্কিন ডলার ও অন্যান্য মুদ্রার দাম নিম্নমুখী। তাই দেশের বাজারে সোনার দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে বাজার অস্থিতিশীল।
দাম কিছুটা হ্রাস পাওয়ায় শুক্রবার থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার অলংকার কিনতে লাগছে ৭৯ হাজার ৫৪৮ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেট ৭৫ হাজার ৯৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৬৫ হাজার ৮৫ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনার অলংকারের ভরি বিক্রি হচ্ছে ৫৪ হাজার ২৩৮ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক মাসে দেশে অনেকবারই সোনার দাম বেড়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন ধরনের নিত্যপণ্যের দামও বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। এর প্রভাব পড়েছে সোনার বাজারে। সর্বশেষ দফায় গত ২২ মে মূল্যবৃদ্ধির পরে সোনার অলংকার বিক্রি ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের সোনা ব্যবসায়ীরা।