গত ১৯ মে ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে লন্ডনের বার্নেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
জানা গেছে, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার প্রিয় স্বদেশ ভূমিতে স্ত্রীর কবরের পাশে তার মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে গত ২০ মে পূর্ব লন্ডনের ব্রিকলেইন মসজিদে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর প্রথম জানাজা হয়। পরে পূর্ব লন্ডনের ঐতিহাসিক শহীদ আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনারে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যসহ সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এরপর ২৩ মে সোমবার বাংলাদেশ হাইকমিশন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর স্মরণে পূর্ব লন্ডনে এক মিলাদ মাহফিল ও শোকসভার আয়োজন করে।
শুক্রবার (২৭ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সর্বস্তরের জনতার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর নামাজে জানাজা হবে। সেখান থেকে বিকেল ৪টায় তার মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জাতীয় প্রেস ক্লাবে নেওয়া হবে। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টায় মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে সেখানে স্ত্রীর কবরের পাশে সমাহিত করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াসহ যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার সঙ্গে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় প্রেস ক্লাব সার্বিক সহযোগিতা করছে।