রোববার (২৯ মে) সকাল থেকে জনসাধারণের জন্য প্রধান ফটক বন্ধ রেখে এমন কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মুহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে সুপ্রিম কোর্টের মূল গেইট সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। মাজার গেইট সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। আর জাজেস স্পোর্টস কমপ্লেক্স সংলগ্ন মসজিদ গেইট সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। বার কাউন্সিল সংলগ্ন আউট গেট দিয়ে কেবল গাড়ি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে বের হবে। সেই গেইট দিয়ে কোনো ধরনের গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। ন্যায় সরনি গেইটটিও সার্বক্ষণিক বন্ধ থাকবে।
এদিন সকালে আদালত প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায় পুলিশ প্রশাসনসহ নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিতরা কাজ করছেন। ভেতরে প্রবেশের সময় খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আইডি কার্ড দেখে অপরিচিতদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
সাইফুর রহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে করা বৈঠকে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এমন সিদ্ধান্ত নেয়। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. বজলুর রহমান ও পুলিশের রমনা অঞ্চলের ডিসি, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র বলেন, বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীরা যাতে সুপ্রিম কোর্টে নির্বিঘ্নে ও স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারেন, সে জন্য রোববার থেকে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের গেটগুলোতে আনাগোনা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আদালত অঙ্গনে যাতে কোনো বহিরাগত লোক প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৬ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনেও। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গণে মিছিলও করেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এরপরই মূলত সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদারের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।