হয় তামিম ইকবাল, না হয় সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমানদের কেউ না কেউ প্রতিটি সফরে কোনো না কোনো ফরম্যাট থেকে বিরত ছিলেন। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে হোম সিরিজ চলাকালীনই শোনা গেল পবিত্র হজব্রত পালনের জন্য আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবেন না মুশফিকুর রহিম।
যে কথা সেই কাজ। বোর্ডের কাছ থেকে ছুটি মিলেছে। হজব্রত পালনের জন্য ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে কোন ফরম্যাটেই থাকছেন না শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টেই শতরান করা এবং টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম পাঁচ হাজার রান সংগ্রহকারী ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল।’
মুশফিকের পাশাপাশি সাকিবকে নিয়েও আছে গুঞ্জন। শোনা গেছে ক্যারিবীয়দের বিরুদ্ধে সাকিব টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নিলেও, ওয়ানডে সিরিজ খেলবেন না। এমনও খবর চাউর হয়েছে যে, সাকিব আগেভাগেই ওয়ানডে সিরিজ না খেলার মৌখিক আবেদন করে রেখেছেন। শুধু বোর্ডের অনুমোদনটাই নাকি বাকি।
সাকিব কি সতিই ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ না খেলার আবেদন করেছেন? সে বিষয়ে বোর্ডের সিদ্ধান্তই বা কী? বোর্ড কি তাকে ছুটি দিয়ে দিয়েছে? নাকি দেবে? আসল ঘটনা কী? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে মিলেছে ভিন্ন তথ্য।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, সাকিব ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলবে না, এমন খবর ঠিক না। আমার জানা মতে সাকিব ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ওয়ানডে সিরিজেও দলের সঙ্গে থাকছে। আশা করছি সাকিব ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ফরম্যাটেই খেলবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সব ফরম্যাটেই তার নাম আছে। সে ওয়ানডে খেলবে না এমন কথা বলেনি। ছুটির আবেদন বহু দূরে, আমাদের (বোর্ডের) কাছে না খেলার কথাও জানায়নি। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজে খেলা নিয়ে কোনো সংশয় নেই সাকিবের।’
তবে এর বাইরে আবার অন্য কথাও বেরিয়ে এসেছে জালাল ইউনুসের মুখ থেকে। যেহেতু সফরের শেষভাগে ওয়ানডে সিরিজ, তাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অনেক সময় বাকি রয়েছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে যদি সাকিব ওয়ানডেতে খেলতে না চান, হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোও যদি তার না খেলার বিষয়টি অনুমোদন করেন, তাহলে সে ব্যাপারে তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়েছেন জালাল। তার মানে সাকিব ওয়ানডে খেলবেনই- এমন নিশ্চয়তাও মেলেনি খোদ ক্রিকেট অপস প্রধানের কণ্ঠে।