ঢাকা স্টক এক্সেচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পাশাপাশি আজ লেনদেনের পরিমাণ গতকালের থেকে বেড়েছে। আজ ডিএসইতে ৮৩৩ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগেরদিন থেকে ২৯৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা বেশি। শেষ কার্যদিবসে (২৬ মে) ডিএসইতে ৫৩৯ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
আজ ডিএসইতে ৩৭৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৪২টির, কমেছে ২৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)ও সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ সিএসই সার্বিক সূচক সিএসপিআই ৩৮২ পয়েন্ট বেড়েছে। এদিন সিএসইতে ২১ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
পুঁজিবাজারে চলমান বাধা দূর করতে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন বলে গত ২৬ মে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তারই প্রেক্ষিতে আজ দেশের পুঁজিবাজারে বড় উত্থান হয়েছে বলে মনে করেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।
ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) এর উদ্যোগে “অংশীদারিত্বের মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করণ ” শীর্ষক ত্রিপক্ষীয় সংলাপে বিএসইসি চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী পক্ষথেকে বিনিয়োগকারীদের আশ্বাস্ত করেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান আরও বলেছিলেন, পুঁজিবাজার অনেক বড় করতে হবে। এজন্য বর্তমান কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহ (অর্থাৎ চলমান সপ্তাহ) থেকে দেশের পুঁজিবাজার অনেক ভাল হবে। সমস্যা অনেকাংশ কেটে যাবে। তারই প্রকাশ পেয়েছে আজকের বাজারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে টানা আট কার্যদিবস দরপতন হয়েছিল দেশের পুঁজিবাজারে। সব মিলে আজ বাদে ঈদপরবর্তী ১৪ কর্মদিবস লেনদেনের এর মধ্যে ১১ কর্মদিবসেই দরপতন হয় পুঁজিবাজারে। এই দরপতনে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন অর্থাৎ পুঁজি কমেছিলো ২৯ হাজার ৫৪৩ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।
ধারাবাহিক এই পতন টেনে ধরতে গত ২৬ মে থেকে শেয়ারদর কমার সর্বনিম্ন সীমা (সার্কিট ব্রেকার) ২ শতাংশ নির্ধারণ করার নির্দেশ দেয় বিএসইসি। ফলে শেষ কার্যদিবসে উত্থানেই শেষ হয়েছিলো লেনদেন।