আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মামলা জট কমাতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ সরকার বিচার বিভাগের জন্য বিভিন্ন লজিস্টিক সুবিধা বৃদ্ধি করেছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, মামলাজট কমানোর গুরু দায়িত্ব বিচারকের। বিচারকদের আরও উদ্যোগী হতে হবে।
ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য আয়োজিত ১৪৫তম রিফ্রেসার কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বাক স্বাধীনতা ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা বন্ধ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়নি। ডিজিটাল মাধ্যমে যেসব অপরাধ হচ্ছে, সেগুলো দমন করার জন্য এই আইন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মামলাজট কমানোর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০০৯ সালের আগে বিচারক ছিল মাত্র সাত থেকে আট শত। এখন এ সংখ্যা উনিশ শতের উপরে। ইতোমধ্যে ১২২৫ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। বিচারকদের যানবাহন সমস্যা সমাধান হচ্ছে। শিগগিরই তাদের জন্য জেলা পর্যায়ে বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, করোনার অতিমারির মধ্যেও জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আদালত সচল রাখা হয়েছে। অধ্যাদেশ জারি করে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ডাটা সুরক্ষা আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে স্টেক হোল্ডারদের যৌক্তিক পরামর্শ অবশ্যই গ্রহণ করা হবে। তিনি জানান, ডাটা সুরক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্তকরণের আগে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি, ব্যবসায়িক প্রতিনিধিসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে আলোচনা করা হবে। এর আগে তিনি জুন মাসের এক তারিখে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানান। বাসস।