পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে সেতু এলাকায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির কাজ। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে ৪০ ফুট উচ্চতার দুটি ম্যুরাল নির্মিত হচ্ছে। দুটি ম্যুরালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি থাকবে। এর পাশে নির্মাণ করা হচ্ছে উদ্বোধনী ফলক।
সেতু বিভাগ সূত্র গণমাধ্যমে জানায়, ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে সেতু উদ্বোধন করে সুধী সমাবেশে অংশ নেবেন। এরপর গাড়িতে চড়ে সেতু পার হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে আরেকটি উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। সেতু এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে খুবই জমকালো। মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ৬৪টি জেলাতেও দেখানোর ব্যবস্থা থাকবে।
সেতু বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, সেতুতে ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট রয়েছে, সেতুর বাইরে আছে আরও প্রায় ২০০ বাতি। সেতুর দুই পাড়ে স্থাপিত বিদ্যুতের উপকেন্দ্রে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে ল্যাম্পপোস্টগুলোয় প্রতিটি বাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা করা হবে। জুনের মাঝামাঝি পুরো সেতুতে আলো জ্বলবে।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সফল করতে ১৮টি উপকমিটি গঠন করেছে সেতু বিভাগ। সব কটি কমিটি প্রায় প্রতিদিনই বৈঠক করছে। এর মধ্যে আমন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত কমিটি আমন্ত্রণ কার্ডের নকশা ও সজ্জার কাজ শুরু করেছে। মনোরম ভেন্যু, সাজসজ্জা, আসন ব্যবস্থাপনা ও অতিথিদের অভ্যর্থনার জন্য রয়েছে আলাদা কমিটি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও প্রদর্শনী থাকবে। অতিথিদের দেওয়া হবে উপহার-স্যুভেনির। অতিথিদের মাওয়া ও জাজিরা—দুই পাড়েই আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া করোনাকালে স্বাস্থ্য সুরক্ষা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য দুই পাড়েই একাধিক কমিটি গঠন করা হয়েছে।